,

প্রশাসনে রদবদলে বিএনপির দাবি অবান্তর: এইচ টি ইমাম

নিজন্ব প্রতিবেদক : প্রশাসনের রদবদলের বিষয়ে বিএনপির দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, তাদের দাবি অবান্তর। দলীয় সরকার ক্ষমতায় জেনেই তারা নির্বাচনে এসেছে। প্রশাসনের রদবদলের নামে বিএনপি যা বলছে তাতে পুরো সরকারকেই ওলটপালট করতে হয়।

রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মিডিয়া সেন্টারে ইসির সাথে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

এইচ টি ইমাম বলেন, বিএনপি তো মেনেই নিয়েছে এই সরকার ও এই প্রশাসনের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে। এখন আবার এই প্রশ্ন কেন? বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ করছি সরকার ও ইসিকে উদ্দেশ্য করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম। অন্য সদস্যরা হলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হক চৌধুরী নওফেল, ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি, রাশেদুল হক, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, এস এম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবির কাউসার, তানভীর ইমাম ও ড. সেলিম মাহমুদ।

এইচ টি ইমাম বলেন, বর্তমানে সারা দেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রয়েছে। দেশের সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সমাবেশ করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, ইসির সঙ্গে বৈঠকে আমরা সে অভিযোগও করেছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রযন্ত্র, সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করে চারদিক থেকে যেভাবে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে, এগুলো বন্ধ করা উচিৎ বলে আমরা মনে করি। বৈঠকে আমরা নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের বিষয়ে কথা বলেছি। আমরা বলেছি, দেশের ১১৮টি পর্যবেক্ষক দল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। তাদের প্রধিনিধির সংখ্যা ৪-৫ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। এই অবস্থায় বিদেশী পর্যবেক্ষক আসার দরকার নেই। কারণ, এই বিপুল পরিমাণ পর্যবেক্ষক ম্যানেজ করতে কমিশন হিমশিম খাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষক আসার বিষয়ে আমরা নিরুৎসাহিত করছি না। তবে জার্নালিস্ট, টুরিস্ট ভিসায় কেউ এসে যেন নিজেদের পর্যবেক্ষক দবি করতে না পারে, সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলেছি কমিশনকে। যারাই আসুক, তারা যেন বাংলাদেশের আইন মেনে চলে, এ কথা ইসিকে বলেছি।

এইচ টি ইমাম বলেন, আমরা চাই, সুষ্ঠু, সুন্দর, স্বচ্ছ এবং সকলের অংশগ্রহণে একটা নির্বাচন। যেটা গ্রহণযোগ্য হবে।

খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে এইচ টি ইমাম বলেন, এটা তো নির্বাচন কমিশনের বিষয়। রিটার্নিং কর্মকর্তার ব্যাপার এবং সুপ্রিম কোর্টের ব্যাপার। এর মধ্যে আমি কোনো মন্তব্য করব না।

এটা কি শুধুই রিটার্নিং কর্মকর্তার বিষয়, এতে কি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে? এ প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, এটা কিন্তু রাজনৈতিক দলের প্রধানের বিষয় নয়। এটা একটি দণ্ডিত ব্যক্তির বিষয়। এখানে আইনের কোনো ব্যত্যয় নেই। সকলের জন্যই এটা প্রযোজ্য।

এ সময় দলটির আরেক নেতা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ফারুক বলে, এটা সবার জন্য সমান। কেননা, আইন সবার জন্য এক। দলের প্রধান হলেও কোনো ব্যক্তির জন্য আইন আলাদা হবে না। আমি তো মনে করি, এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে- এতে প্রমাণিত হয় যে, বাংলাদেশের লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ড আছে। সকলের জন্য আইন একই রকম। দ্যাট ইজ লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ড।

এই বিভাগের আরও খবর