,

তিন জুমা পর শান্ত বায়তুল মোকাররম

জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণ ত্যাগ করছেন মুসল্লিরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা তিন সপ্তাহ পর বিক্ষোভ সমাবেশ সংঘর্ষ ছাড়া বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজ শেষ হয়েছে।

দুপুর ১.৪০ মিনিটে শেষ হয় জুমার নামাজ। নামাজ শেষে যে যার মতো বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। নামাজের পর কোন মুসল্লিদের জমায়েতও দেখা যায়নি। অনুষ্ঠিত হয়নি কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ। দেখা যায়নি কোনো ধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি।

গত বুধবার দেশের সকল মসজিদে জুমা ও ওয়াক্তের নামাজ এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনার আগে ও পরে গণজমায়েত নিরুৎসাহিত করে তিন দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার।

সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে জুমার নামাজ শুরুর আগে থেকেই বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন ছিল। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে একে মসজিদ প্রাঙ্গণ ছেড়ে যায়।

নামাজ শেষে কোনো ধরনের সাংঘর্ষিক অবস্থা তৈরি না হলেও কয়েকজন মুসল্লি মিডিয়াকর্মীদের অপর ক্ষোভ ঝাড়েন। এছাড়া মসজিদের সামনে কিছু মুসল্লির জমায়েত হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জুমার নামাজ শেষে আজ কোনো বিক্ষোভ সমাবেশ হয়নি। নামাজ শেষে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মুসল্লিরা মসজিদে এলাকা ছেড়ে গেছেন।’

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি ইসলামি দলের নেতা-কর্মীরা কয়েক সপ্তাহ ধরে জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছিল।

২ এপ্রিল নরেন্দ্র মোদির সফরবিরোধী কর্মসূচি ও হরতালে সারা দেশে হেফাজত কর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে মসজিদ এলাকায় বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা।

এর আগের শুক্রবার ২৬ মার্চ জুমার নামাজ শেষে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধর্মভিত্তিক দলগুলোর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীদের সংঘর্ষ চলে।

এ সময় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

১৯ মার্চ বায়তুল মোকাররম এলাকায় সহিংসতা ছড়ায় হেফাজতে ইসলাম ও ধর্মভিত্তিক দলগুলোর নেতা-কর্মীরা। মোদির সফর প্রতিহত করতে জুমার নামাজ শেষে বিক্ষোভ করে তারা।

বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ বলেছিল, ‘যদি মোদিকে আসতে দেয়া হয়, তাহলে আমরা সবাই সন্ত্রাসে পরিণত হব। বাংলা হবে আফগান, আমরা হব তালেবান।’

এই বিভাগের আরও খবর