,

শবে বরাতে মিষ্টি বিক্রির ধুম

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘সন্ধ্যা থেকে দুই মণেরও বেশি মিষ্টি বিক্রি হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই খালি হয়ে গেছে সব ট্রে। মজুত যা ছিল সেটিও শেষ। অনেকদিন পর এমন জমজমাট বিক্রি হয়েছে। গরম বেশি থাকার কারণে মিষ্টি বেশি মজুত করা সম্ভব হয়নি। অন্য দিন এমন সময় মিষ্টি বিক্রির বাকি থাকলেও আজ কোনো মিষ্টি অবশিষ্ট নেই।’

শুক্রবার (১৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শবে বরাত উপলক্ষে মিষ্টির চাহিদার এমন অবস্থার কথা জানাচ্ছিলেন রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার যাদব ঘোষ অ্যান্ড সন্স মিষ্টি দোকানের বিক্রেতা সুমন। শুধু এখানেই নয়, মিরপুর রোড, নিউমার্কেট, আজিমপুরের বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা যায় অধিকাংশ দোকানেই মিষ্টি শেষের দিকে।

দোকানিরা জানান, শুক্রবার ও শবে বরাত উপলক্ষে সারা দিনই বেশ জমজমাট ছিল মিষ্টির বিক্রি। তবে মূল বেচাকেনা শুরু হয়েছে সন্ধ্যার পর থেকে। দোকানভেদে  জিলাপি, বিভিন্ন ধরনের হালুয়া, পুডিং, কাঁচা ছানা, রসগোল্লার চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে অন্য বারের তুলনায় এ বছর তেল-চিনি, আটা-ময়দাসহ মিষ্টি তৈরির সব উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় মিষ্টির দামেও এর প্রভাব পড়েছে বলে জানান তারা।

মিরপুর রোডের মহনচাঁন অ্যান্ড গ্র্যান্ড সন মিষ্টি দোকানের বিক্রেতা রাসেল বলেন, শবে বরাত উপলক্ষে নিয়মিত মিষ্টির পাশাপাশি স্পেশাল হালুয়া, নিমকি, দধির আইটেম ছিল। আমার দোকানে গাজরের হালুয়া, বুটের হালুয়া, পুডিং ও জিলাপি বিক্রি হয়েছে বেশি। এর মধ্যে গাজর ও বুটের হালুয়া ৪০০ টাকা, মিষ্টি দধি ২৬০ টাকা, টক মিষ্টি দধি ২৮০ টাকা, টক দধি ১৮০ টাকা, স্বরের দধি ৩৬০ টাকা, রসমালাই  ৪৬০ টাকা, দুধ মালাই ৪৬০ টাকা, স্পঞ্জ রসগোল্লা ৪৬০ টাকা, শনপাপড়ি ৩৪০ টাকা, নিমকি ২২০ টাকা, মালাই ১২০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। মিষ্টির দাম কিছুটা বেশি এর কারণ হচ্ছে মূল উপকরণে কিন্তু আমাদের খরচ হচ্ছে বেশি।

বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের বিক্রি নিয়ে সন্তোষের কথা জানান আজিমপুরের বন্ধু মিষ্টান্ন ভান্ডারের ম্যানেজার রফিকুল আলম। তিনি বলেন, গত কয়েক বছর শবে বরাতে বিধিনিষেধ ও করোনার প্রভাব থাকার কারণে মিষ্টির ব্যবসায় মন্দা গিয়েছে। এবার বিক্রি খুব ভালো হয়েছে। শুক্রবার দিনের বেলা মসজিদে মিলাদের জন্য রসগোল্লা, নিমকি এবং সন্ধ্যার পর থেকে দোকানে মিষ্টি, জিলাপি ও হালুয়া ভালো বিক্রি হয়েছে। বিক্রি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।

এই বিভাগের আরও খবর