,

‘কাউকে ভোটের মাঠে আনা কমিশনের কাজ নয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো চাপে পড়ছে না কমিশন। কাউকে ভোটের মাঠে আনা কমিশনের কাজ নয়। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান কমিশনের মূল দায়িত্ব।

নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ভোটার তালিকা হালনাগাদ-২০২০ এর প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে মঙ্গলবার (১০ মে) তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএমে ভোট (দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন) হবে না কিসে হবে, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া এ মুহূর্তে ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট করা সম্ভব না, সেটা আমরা জানিয়ে দিয়েছি। পরে কী হবে না হবে, সেটা আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইভিএমে ভোটগ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটি নিয়ে পত্রিকায় আসছে ও আমাদের বক্তব্যগুলো আপনাদের জানানো হয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠান করার দায়িত্ব আমাদের। হয়তো আপনারা বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী একটি বক্তব্য দিয়েছেন ও বিভিন্নজন থেকে বক্তব্য আসতে পারে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নাকি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেছেন, বিষয়টি এখনো স্পষ্ট না। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলা, বিএনপির প্রধান বলা, জাসদের আব্দুর রব বলা এগুলো ভিন্ন জিনিস। আর সব থেকে কথা যেটি স্পষ্ট করে বলতে চাচ্ছি, অনেকে ইচ্ছা পোষণ করতে পারেন, সদিচ্ছা ব্যক্ত করতে পারেন। তবে ইভিএমে ভোট দেওয়ার বিষয়ে আমরা এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।

সিইসি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা নিজেরা অনেকগুলো সভা করেছি, আগামীতে আরো সভা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত হবে আমাদের। ভোট স্বাধীনভাবে আমরা পরিচালনা করবো যতোদূর সম্ভব। এটা আমাদের এখতিয়ারভুক্ত। পদ্ধতিও আমাদের এখতিয়ারভুক্ত।

সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত আমাদের উপরেই থাকবে। মতামত আমরা বিবেচনায় নিতে পারি। আপনিও মতামত দিতে পারেন, রাস্তার কেউ মতামত দিতে পারেন, রাজনৈতিক দলগুলো মতামত দিতে পারবে। আল্টিমেটলি আমরা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো, ভোট কোন পদ্ধতি ও কেমন হবে। সেটি আমাদের বিষয়। এ বিষয়ে আমরা স্বাধীন।

এর আগে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধনের সময় সিইসি সব যোগ্য নাগরিকদের ভোটার হওয়ার আহ্বান জানান। বলেন, ভোটার না হওয়াটাও আইনের ব্যত্যয়।

আগামী ২০ মে থেকে সারাদেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করবে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে চার ধাপে এ কর্মসূচি সম্পন্ন করা হবে। প্রথম ধাপে ১৪০ উপজেলায় কার্যক্রম চলবে ২০ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত।

এই বিভাগের আরও খবর