,

এখনই বেতন কাটা হচ্ছে না টাইগারদের

ক্রীড়া ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে থমকে গেছে ক্রিকেট বিশ্ব। ফলে ক্রিকেট বোর্ডগুলো বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। আর এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে খেলোয়াড়দের বেতন কেটে রাখাকেই সাময়িকভাবে সমাধান হিসেবে ভাবছে অনেক বোর্ড। কিন্তু সে পথে হাঁটতে চায় না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

ক্রিকেট স্থগিত হয়ে যাওয়ায় বিসিবি’র ক্ষতিও কম হয়নি। আগামী জুন ও আগস্টে ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের দুটি সিরিজ আয়োজনের কথা ছিল বিসিবি’র। দুটি সিরিজই আবার আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। এখন এই দুই সিরিজের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। এর আগে বাংলাদেশ দলের তৃতীয় ধাপে পাকিস্তান সফর, যুক্তরাজ্যে আয়ারল্যান্ড সিরিজও স্থগিত হয়ে গেছে।

বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘অন্যান্য বোর্ড যারা বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে, তাদের তুলনায় আমাদের অবস্থা বেশ ভালো। এটা এমন একটা পরিস্থিতি যা আমারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার জন্য আমাদের অপেক্ষায় থাকতে হবে। একটা শিডিউল জটিলতা তৈরি হবে যা আমরা সমাধান করতে পারব না। আমাদেরকে আইসিসি সহ অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে সংযুক্ত হতে হবে।’

‘আমরা এখনই এসব বিষয় (বেতন কাটার কথা) ভাবছি না। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমাদেরকে এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে না যেহেতু আমাদের হাতে কিছু সময় আছে। এবং আমরা আশা করি এই সময়ের মধ্যেই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আমরা এই সংকটের মুহূর্তে কীভাবে ক্রিকেটার এবং আমাদের অন্যান্য কর্মীদের পাশে থাকা যায় তা নিয়ে কাজ করছি।’

বিসিবি এখন জাতীয় দলের জন্য নতুন স্পন্সর খোঁজার পাশাপাশি সম্প্রচার স্বত্ব নিয়েও কাজ করছে (গাজী টেলিভিশনের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ২০২০ সালের এপ্রিলে শেষ হবে)। তবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সিরিজ অনিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এখন এসব নিয়েও একটা সমস্যা তৈরি হতে পারে। এর আগে জানুয়ারিতে ইউনিলিভারের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন স্পন্সর খোঁজার চেষ্টা করেছিল বিসিবি। কিন্তু দুই বছরের জন্য ৫৫ কোটি টাকা দিয়ে স্পন্সরশিপ নিতে রাজি হয়নি কেউই। পরে বেক্সিমকো গ্রুপের ডিটিএইচ কোম্পানি ‘আকাশ’র সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তিতে যেতে বাধ্য হয় বিসিবি।

এই বিভাগের আরও খবর