,

মেহেরপুরে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার

মেহেরপুর প্রতিনিধি:  মেহেরপুর সদর উপজেলার ভৈরব নদের যতারপুর-যাদুখালি অংশে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পারাপারে প্রতিদিন এলাকার শত শত মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের যাদুখালি স্কুল এন্ড কলেজে যেতে মুজিবনগর উপজেলার যতারপুর গ্রামের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ভৈরব নদের উপর নির্মিত কাঠের ফরাশ। ওই ফরাশের ওপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

কিন্তু বছরের অধিকাংশ সময়ই ফরাসটি ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় যাদুখালি স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যায়নরত যতারপুর গ্রামের অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের।

যাদুখালি স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন- আমাদের স্কুলে যাওয়া আসার একমাত্র মাধ্যম এই ফরাশ। সেটি প্রায় সময় ভেঙ্গে পড়ে থাকে। এতে কলেজে যেতে প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হয়। কাঠের ফরাশ একবার ভেঙ্গে গেলে সংস্কার না করা পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারি না, এতে আমাদের শিক্ষা ব্যাহত হয়।

রাজিব নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুল গত বছর বলেছিলেন, অন্তত শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে হলেও এখানে একটা সেতু হওয়া প্রয়োজন। তিনি সেখানে সেতু তৈরীর প্রতিশ্রুতিও দেন।
যতারপুর গ্রামের অনেকেই অভিন্নসুরে বলেছেন- আমাদের গ্রাম থেকে যাদুখালি স্কুল এন্ড কলেজ সন্নিকটে। একারণেই তাদের ছেলে মেয়েদেরও ওই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে পাঠিয়েছে।কিন্তু ঝুকিপূর্ন সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াতে পরিবারের অভিভাবকদের আতংকে থাকতে হয় না জানি কোন দুঃসংবাদ তাদের শুনতে হয়।

যাদুখালি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত তিন বছর আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সাথে আলোচনা করে একটি বাঁশের তৈরি ফরাশ করে দেওয়া হয়। আর ফরাশ করার পর থেকে শিক্ষার্থীসহ  ওই গ্রামের মানুষের যাতায়াত করতে পারে।

তাছাড়া এর আগে কোন ফরাশ না থাকায় নৌকায় করে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে হত। প্রতি বছরই সেই ফরাশ সংস্কার করতে হয়। এতে অনেক টাকা খরচ করা লাগে। তবে যদি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মহোদয় শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে হলেও সেতু তৈরির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয় তাহলে শিক্ষার্থীরা নিশ্চেন্তে যাতায়াত করতে পারবে।

এই বিভাগের আরও খবর