,

পাটগ্রামে বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ১ নং পানবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সম্প্রতি অনিয়ম করে ভূয়া দুই অভিভাবক সদস্য নির্বাচন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় অভিভাবকদের ওই অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে পূর্ণ তফসিল ঘোষণার দাবিতে করা অভিযোগ তদন্তে মাইকে প্রচার-প্রচারণা করে তদন্তে এলেন না উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মেশতাক জাহান। ফলে ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী ঘটনা তদন্তে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মেশকাত জাহানকে দায়িত্ব দেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন। ওই বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকারজন ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের তদন্ত কাজে সহায়তার জন্য গত সোমবার সকালে ও বিকেলে দুই দফা মাইকিং করে প্রচারণা চালান। এতে মঙ্গলবার সকাল এগারোটার দিকে বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে অভিভাবকবৃন্দকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। কিন্তু তদন্তের সময়ের দুই ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে ও তদন্ত কাজে নিয়োজিত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মেশকাত জাহান ও প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়ে মোবাইল ফোনে তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন।

বিদ্যালয় এলাকার শতশত নারী-পুরুষ দীর্ঘ সময় রোদে দাঁড়িয়ে থেকে তদন্ত কার্যক্রম বন্ধের কথা শুনে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা ধরণের স্লোগান দিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। একপর্যায়ে লোকজন পাটগ্রাম উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় ঘেরাও করার ঘোষণা দেন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিভাবকদের তদন্ত কার্যক্রম অনিবার্য কারণবশত স্থগিতের কথা বলেন।

অভিভাবক রফিকুল ইসলাম (৫০) বলেন, ‘ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকের কারসাজি। তাদের বিচার হওয়া উচিত। সঠিক তদন্তের করা শুনে ‘কৃষিকাজ রেখে আসছি। হঠাৎ করে তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। আমরা গ্রামের শতশত লোকজন সঠিক তদন্তচাই। কোনো অনিয়ম চাই না। ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে। কিছুদিন থাকি অনিয়ম করি চলছে। খুব রোদ,দুইঘন্টা থাকি অপেক্ষায় থাকিয়া এলা (এখন) শুনি কমিটির অনিয়মের তদন্ত না কী করা হবে না ।’

বিদ্যালয়ের অভিভাবক লাইলী বেগম বলেন, স্কুলটা ভালোই চলছিল। কিছুদিন থেকে অনিয়ম চলছে। খুব রোদ, দুই ঘণ্টা থেকে অপেক্ষায় থেকে এখন শুনি কমিটির অনিয়মের তদন্ত না কি করা হবে না।

উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও পানবাড়ী ক্লাস্টারের মেশকাত জাহান বলেন, উপজেলা শিক্ষা কমিটি কোনো সদস্য তদন্তে যাবেন না বলে সকালে জানতে পারি। তাছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানও নেই।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন বিদ্যালয় এলাকায় মাইকিং করে তদন্তের প্রচারণা করার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, প্রচার করেও তদন্ত কার্যক্রম কেন স্থগিত করা হয়েছে তা মেশকাত জাহানের কাছে জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, আমি কি তদন্তকারী কর্মকর্তা। সেখানে যাব কেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা মেশকাত জাহানকেই ওই বিদ্যালয়ে যেতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর