,

গোপালগঞ্জে ডায়রিয়ার প্রকোপ হাসপাতালের মেঝেতেও রোগী

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:   প্রচণ্ড দাবদাহ আর ভাপসা গরমে গোপালগঞ্জে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছে। বিছানাস্বল্পতার কারণে রোগীদের হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় থাকতে হচ্ছে।

এদিকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ জেলার অন্য চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়া রোগী বেড়ে যাওয়ায় ওষুধ ও স্যালাইন ঘাটতি দেখা দিয়েছে। চাহিদার তুলনায় ওষুধ সরবরাহ কম থাকায় বাধ্য হয়ে রোগী ও রোগীর স্বজনরা বাইরে থেকে ওষুধ কিনছে।

সরেজমিন গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল ঘুরে জানা গেছে, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৬টি বেড থাকলেও গতকাল রবিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত রোগী রয়েছে ৩৯ জন। গতকাল দুপুর পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ১৫ জন। গত ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫২ জন ডায়রিয়া রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। আবার অনেকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ছাড়া জেলার কোটালীপাড়া, টুঙ্গিপাড়া, মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এসব হাসপাতালে এত চাপ না থাকলেও প্রতিদিন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিতে আসছে বলে জানিয়েছেন ওই সব হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা।

হাসপাতালে ভর্তি গোপালগঞ্জ সদরের করপাড়া গ্রামের মুকুল খান বলেন, ‘আমার ছেলের বারবার বমি ও পাতলা পায়খানা হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করি। এখানে রোগীর অনেক চাপ। হাসপাতাল থেকে খাবার স্যালাইন ও সামান্য কিছু ওষুধ দেওয়া হলেও ইনজেকশনসহ অন্যান্য ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।’

গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক (মেডিসিন) সুভাষ চন্দ্র ভাদুড়ী সাংবাদিকদের জানান, হঠাৎ ভাপসা গরমের পাশাপাশি দূষিত পানি ব্যবহারের কারণে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে ওয়ার্ডে খাবার স্যালাইন, বড়ি, ইনজেকশন সরবরাহ থাকলেও আইভি ফ্লুইড না থাকায় রোগীদের তা বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে।

গোপালগঞ্জ আড়াই শ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর এপ্রিল ও মে মাসে প্রচণ্ড গরমে ডায়রিয়াজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ডায়রিয়া রোগীদের পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন রয়েছে। বিছানাস্বল্পতার কারণে অনেককে মেঝেতে স্থান দিতে হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর