,

“কেমন আছে ঘূর্ণিঝড় জয়ী সিডর সরকার”

বাগেরহাট প্রতিনিধি: ১১ বছর পেরিয়ে গেল প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড় সিডরের। কেউ ভোলেনি সিডরের কথা।

বিশেষকরে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের অধিবাসীদের হৃদয় আজও সেই কালরাত্রির স্মৃতিতে শিহরিত হয়ে ওঠে।

ঘূর্ণিঝড় সিডরের সঙ্গে শিশু সিডরকেও মনে রেখেছেন অনেকে।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে দেশের উপকূলীয় ১১টি জেলায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি ।

ঘুর্ণিঝড়ের সিডরের সমানই বয়স সিডরের। সিডর সরকার আজ ১১ পেরিয়ে ১২ বছরে পা দিল।

ঘূর্ণিঝড়ের দিনে অনেকের সঙ্গে মোংলা উপজেলার চিলা গ্রামের সেন্ট মেরিস গির্জাসংলগ্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন জর্জি সরকার ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সাথী সরকার।

সেদিন রাতেই আশ্রয়কেন্দ্রে সাথী জন্ম দেন ফুটফুটে এক শিশুকে। শিশুটির নাম রাখা হয় ‘সিডর’।

কেমন আছে সিডর?

সূত্রের খবর, তেমন একটা ভালো কাটছেনা সিডরের শৈশব।

উপকূলীয় এলাকার অন্য পরিবারগুলোর মতো সিডরের পরিবারও অভাব–অনটনে দিন কাটাচ্ছে।

মা-বাবার মমতা থেকে অনেকটা বঞ্চিত সিডর। অর্থাভাবে সিডরের জন্য মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা জানিয়েছেন সিডরের দাদি রিভা সরকার।

অর্থাভাবে সিডরকে ভর্তি হতে হয়েছে খুলনার দাকোপ উপজেলার হরিণটানা গ্রামে হোম অব লাভ নামের একটি মিশনারি বোর্ডিং স্কুলে।

সেখানে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে সে।

জর্জি সরকার সাগরে মাছ ধরে পরিবারের দায়িত্ব পূরণ করতে পারছেন না বলে সিডরের মা ঢাকায় গৃহপরিচারিকার কাজ করছেন।

ঘূর্ণিঝড় জয়ী সিডরের অবশ্য সেই আক্ষেপ নেই। সে জানায়, ‘পড়াশোনা করে অনেক বড় হব।’

মিশনারি স্কুলেই ভালো আছে জানিয়ে সিডর উত্তর দেয়, ‘বড়দিনে বাড়ি যাব।’

এই বিভাগের আরও খবর