,

অবশেষে সরকারকে হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে গ্রামীণফোন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের পাওনা দুই হাজার কোটি টাকার মধ্যে এবার এক হাজার কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিএসএমভিত্তিক মোবাইল ফোন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দেশের টেলিকমিউনিকেশন খাতের প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এই অর্থ দেবে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটির হেড অব এক্সটারনাল কমিউনিকেশন হাসান সংবাদমাধ্যমের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির পাওনা টাকা আগামী সোমবারের (২৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে দিতে গ্রামীণফোনকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারকের সমন্বিত আপিল বেঞ্চ নির্দেশনাটি প্রদান করেন।

আদেশে বলা হয়েছে, বিটিআরসি গ্রামীণফোনের কাছে যে টাকা পাওনা আছে তা কমানোর কোনো সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে গ্রামীণফোনকে আগামী সোমবারের মধ্যে অন্তত এক হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। বাকি টাকার বিষয়ে সেদিন পরবর্তী আদেশ দেওয়া হবে।

কিন্তু গ্রামীণফোনের আইনজীবী ছয় মাস সময় চেয়ে বলেন, গ্রামীণফোন ৫৭৫ কোটি টাকা দিতে চায়। এই আবেদন আদালত গ্রাহ্য না করে এক হাজার কোটি টাকা দিতে বলে বিটিআরসিকে। এসময় আদালত বলেন, শুধু টাকা কমালেই হবে না, টাকা দিতেও হবে।

এর আগে গ্রামীণফোনের নতুন প্রধান নির্বাহী বলেছিলেন, সোমবার দুই হাজার কোটি টাকা পাওনার মধ্যে বিটিআরসিকে ৫৭৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে গ্রামীণফোন প্রস্তুত। বাকি টাকা পরিশোধের ক্ষেত্রে আদালতের রায় অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু উচ্চ আদালতের আদেশ ছাড়া বিটিআরসি ৫৭৫ কোটি টাকা নেবে না। যদি ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুরো টাকা না দেওয়া হয়, তবে গ্রামীণফোনে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে তারা।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত বছরের ২৪ নভেম্বর বিটিআরসির দাবি করা ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেন গ্রামীণফোনকে। এই টাকা ৩ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়।

এই নির্দেশনার পর কোম্পানিটি বিটিআরসির পাওনা দাবির একটি অংশ পরিশোধ করতে রাজি হয়। কিন্তু ২ হাজার কোটি টাকা নয়। তারা ১২ কিস্তিতে ৫৭৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে চায়। সম্প্রতি দেশের শীর্ষ এই অপারেটর এই দাবি নিয়ে আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন করে।

এই বিভাগের আরও খবর