,

কেউ জানবেও না আমাদের হৃদয়ে একে অপরের প্রতি কতটা জায়গা: জেমস

আইয়ুব বাচ্চু আর জেমস বাংলাদেশের গানের গতি ধারাকে পরিবর্তন করে দেন। বাংলাদেশে রক ইতিহাসের দ্বৈরথ বলা হয় আইয়ুব বাচ্চু-জেমসকে। প্রায় তিন দশক তারা দুজনে মিলে শাসন করেছেন দুই বাংলার রক কিংবা ব্যান্ড সংগীত।

হঠাৎ করেই না ফেরার দেশে চলে যান আইয়ুব বাচ্চু। এ সময় কনসার্টে অংশ নিতে এখন বরগুনায় অবস্থান করছেন জেমস। আইয়ুব বাচ্চু আর নেই এ খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাউন্ডচেক আর প্র্যাকটিস পর্ব বন্ধ করে দেন। বিমর্ষ হয়ে পড়েন জেমস। গত চার দশক ধরে একসঙ্গে অসংখ্যা শো আর এ্যালবাম করেছেন তারা। আর দুজনের শুরুটাও হয়েছিল চট্টগ্রাম থেকেই।

জেমস বলেন, ‘তিনি বাংলা গানের একজন কিংবদন্তি। ১৯৮০ সালের শুরুর দিকে আমাদের পরিচয়। এরপর দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর আমরা একে অপরের সুখে-দুঃখে মানে-অভিমানে কাটিয়েছি। একসঙ্গে প্রচুর শো করেছি, গান করেছি, দেশ-বিদেশে ঘুরেছি। উনি অকস্মাৎ এভাবে আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে যাবেন, খবরটা শুনে মানতে পারছি না। রক সংগীতে তার যে অবদান সেটা এই জাতি চিরদিন মনে রাখবে বলেই বিশ্বাস করি।’

একটু থেমে আর্দ্রকণ্ঠে জেমস বলেন, ‘উনি অত্যন্ত উদার মনের মানুষ ছিলেন। প্রচণ্ড রসাত্মবোধ ছিল তার মধ্যে। ওনার সাথে আমার যে সম্পর্কটা সেটা আসলে বলে বোঝানো যাবে না। বিভিন্ন সময়ে কারণে-অকারণে আমরা একজন আরেকজনের পাশে ছিলাম। সম্পর্কের এই গভীরতার কথা কখনও বোঝাতে পারবো না। কেউ হয়তো জানবেও না আমাদের হৃদয়ে একে অপরের জন্য কতটা জায়গা।’

জেমস বললেন, ‘আমি এখন বরগুনা আছি। এটা আমার জন্য দুর্ভাগ্যজনক। ঢাকায় থাকলে ছুটে যেতে পারতাম। বরগুনা স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যায় একটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে গাইতে হচ্ছে। আমি খবরটি পেয়েই মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের (আসাদুজ্জামান নূর) সঙ্গে কথা বলেছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আজকের কনসার্টটি উনাকে (আইয়ুব বাচ্চু) ডেডিকেটেড করে করবো। কতটা প্রাণখুলে গাইতে পারবো জানি না।’

সূত্রঃ একুশে টিভি অনলাইন

এই বিভাগের আরও খবর