,

নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকাল মোরশেদা

মোরশেদা খাতুন

সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নিজের বিয়ে বন্ধ করতে ১০৯-এ কল দেওয়ার চেষ্টা করছিল মাদরাসাছাত্রী মোরশেদা খাতুন (১৩)। অভিভাবকরা টের পেয়ে মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করলেও শেষ পর্যন্ত প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরের ভয়ে বিয়েটি বন্ধ করে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার; নওগাঁর সাপাহারের সীমান্তঘেঁষা পাতাড়ী ড্রেনপাড়া গ্রামে।

মোরশেদা একই গ্রামের মোকলেছুর রহমান ও ফেরদৌসী বেগমের মেয়ে এবং পাতাড়ী ফাজিল মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।

জানা যায়, মঙ্গলবার পাশের গ্রামের ছেলের সঙ্গে মোরশেদার বিয়ের দিন ধার্য ছিল। বাড়িতে বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হতে দেখে সে গ্রামে অবস্থিত বেসরকারি সংগঠন বিএসডিও এবং বিডিওর শিশু বিকাশ কেন্দ্র ও লোক কেন্দ্রে গিয়ে দেয়ালে টাঙানো চার্ট থেকে জরুরি প্রয়োজনে কল করার জন্য সরকারি ফোন নম্বরগুলো খাতায় টুকে আনে।

পরে দৌড়ে বাড়িতে এসে ঘরে ঢুকে ১০৯-এ কল দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু বিয়ে বন্ধ করার মেয়ের কৌশল টের পেয়ে যান মা ফেরদৌসী। এ অবস্থায় মেয়ের কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাকে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকেন এবং জানতে চান সে নম্বরটি কোথায় পেয়েছে। নির্যাতনের একপর্যায়ে মোরশেদা নম্বরটি লোক কেন্দ্রের ম্যানেজার শারমীন আক্তারের কাছ থেকে পেয়েছে বলে জানায়। পরে মোরশেদার মা-বাবার লোক কেন্দ্রের ম্যানেজারের ওপর চড়াও হয় এবং তাঁকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দেয়। কিন্তু প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরের ভয়ে আপাতত বিয়েটি বন্ধ করে দেন তাঁরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কল্যাণ চৌধুরী জানান, এ ধরনের খবর তিনি পাননি। পেলে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নিতেন। তবে এ প্রতিনিধির কাছ থেকে শুনে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে জানান।

এই বিভাগের আরও খবর