স্পোর্টস ডেস্ক, বিডিনিউজ ১০ ডটকম: ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লজ্জার হার। বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস নড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্টে ড্র করলেও সিরিজ খোয়াবে টাইগাররা। এমন চাপ মাথায় নিয়ে দ্বিতীয় টেস্টে কি পারফর্ম করতে পারবে মাহমুদউল্লাহর দল? পারবে ঘুরে দাঁড়াতে? হতাশার প্রথম টেস্টে আশা জাগানিয়া ব্যাটিং করা আরিফুল হক মনে করছেন, সেটা খুব কঠিন হবে না। পরের টেস্টে মোস্তাফিজুর রহমান ফিরলে সহজেই বাংলাদেশ দল জিততে পারবে, মনে করছেন তিনি।
প্রথম টেস্টে দল হারলেও বিপর্যয়ের মুখে হার না মানা ৪১ আর ৩৮ রানের দুটি ইনিংস খেলেছেন। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে কতটা তৃপ্ত? আরিফুল অবশ্য এখনই তৃপ্তি শব্দটি মাথায় আনতে চান না। তিনি বলেন, ‘আত্মতৃপ্তি আসলে আমি নিতে চাই না। কারণ এখনও আমি ওইরকম কিছুই করি নি। আমি আরও বড় কিছু করার চিন্তা করি। লক্ষ্য শতভাগ পূর্ণ না করতে পারলেও ৯০ ভাগ পর্যন্ত যেন অর্জন করতে পারি।’
প্রথম টেস্টে খেলেছেন সাত নাম্বারে। পজিশনটা এমন যেখানে বেশিরভাগ সময় লোয়ার অর্ডারদের সঙ্গে নিয়েই লড়তে হয়। কাজটা নিঃসন্দেহে কঠিন। তবে আরিফুল কঠিন কাজটিকে সহজ করেই দেখছেন, ‘আমি বিসিএল, এনসিএলে লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের সাথেই বেশিরভাগ সময় ব্যাট করে থাকি। ওই সময় প্ল্যানটা একটু অন্যরকম থাকে। আপনাকে হয়তো চারটি বল খেলতে হবে, দুই-একটা বল আরেকজনকে দিতে হবে। আপনি টেল এন্ডারের কাছ থেকে ওইভাবে কিছু আশা করতে পারেন না। হয়তো হয়নি প্রথম টেস্টে, কিন্তু ওরাও চেষ্টা করেছে সুযোগ দেয়ার। আমি বেশিরভাগ বল খেলে একটা বল আরেকজনকে দিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি।’
এবার আসলো দলের প্রসঙ্গ। প্রথম টেস্টে হারের পর দল কতটা চাপে আছে? দ্বিতীয় টেস্টে কি ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব? আরিফুল তো এত চাপের কিছু দেখছেনই না। তার উত্তর, ‘আমাদের কোন চাপ নেই। (প্রথম টেস্টে) আমাদের মূল বোলার মোস্তাফিজ খেলেনি। মোস্তাফিজ ফিরলে আমরা ম্যাচ জিততে পারব, কোন সমস্যা হবে না। আমরা ইতিবাচক আছি, আমাদের জন্য ডু ওর ডাই ম্যাচ, আমরা ম্যাচ জিতব যেভাবেই হোক।’
শেষ ম্যাচের ব্যর্থতা মাথায়ই আনতে চান না আরিফুল। সবাই একত্র হয়ে খেললে দ্বিতীয় টেস্টে জেতা কঠিন কোনা কাজ হবে না বলেই আত্মবিশ্বাস তার, ‘আমরা যদি শেষ ম্যাচ নিয়ে চিন্তা করি, তাহলে মোরালি অনেক ডাউন থাকব। আমরা ওইটা নিয়ে চিন্তা করব না। আমরা ম্যাচ, বল টু বল নিয়ে ফোকাস করব। আমার মনে সবাই একত্র হয়ে খেলতে পারলে আমাদের জন্য জেতা কঠিন হবে না।’