জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: বাড়ির গেটের দরজা রাস্তার ওপর যাওয়ায় প্রতিবন্ধী এক নারীর বাসার দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে নির্যাতন ও মারপিট করেন এক ব্যবসায়ী দম্পতি। এসময় ঠেকাতে গেলে উল্টো জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদককে জড়িয়ে বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মিথ্যা অভিযোগ ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ উঠছে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে।
বুধবার (১২ জুলাই) বিকালে জেলা শহরের আরামবাগ এলাকার সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী নারী শানু বেগম ও জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমির হামজার বাবা হানিফ কাজী।
অভিযুক্ত ওই দম্পতি হলেন, গোপালগঞ্জ জেলা শহরের আরামবাগ এলাকার ব্যবসায়ী নোমান হোসেন তমাল ও তার স্ত্রী আইরিন সুলতানা আশা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রতিবন্ধী নারী শানু বেগম বলেন, ‘রাস্তা নিয়ে প্রতিবেশি বাসিন্দা নোমান হোসেন তমাল ও তার স্ত্রী আইরিন সুলতানা আশার সাথে বাসার মালিক হাফিজ কাজীর সাথে বিরোধ চলে আসছিল। ১০ জুলাই সোমবার সকালে আমার বাসার গেট তাদের রাস্তার উপর খুলে গেলে তারা গেটে লাথি মারে। পরে আমি কেন লাথি মারলেন জানতে চাইলে তারা আমার বাসায় ঢুকে আমাকে ও আমার মাকে মারধর করে। এ ঘটনায় আমি সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।’
একই সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমির হামজার বাবা হানিফ কাজী বলেন, ‘প্রতিবেশি বাসিন্দ নোমান হোসেন তমাল ও তার স্ত্রী আইরিন সুলতানা আশাকে মারধরের যে অভিযোগ এনেছে তা মিথ্যা এ ঘটনায় আমার ছেলে আমির হামজা জড়িত নয়। বরং আমার বাড়ীতে ঢুকে ভাড়াটিয়া প্রতিবন্ধী নারী শানু বেগমকে মারধর করলে আমার ছেলেসহ আমরা নোমান হোসেন তমাল ও তার স্ত্রী আইরিন সুলতানা আশাকে ঠেকাতে যাই। তারপরেও আমার ছেলেকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দ্যেশে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আইরিন সুলতানা আশা বলেন, ‘আমরা কাউকে মারপিট করিনি।উল্টো তারা আমির হামজাকে নিয়ে আমার ওপর হামলা চালিয়েছে।’
অভিযুক্ত আইরিন সুলতানা আশার দায়ের করা অভিযোগের সাক্ষী বাবুল মোল্লা বলেন, ‘ব্যবসায়ী তমালের স্ত্রী ওই প্রতিবন্ধীর ওপর নির্যাতন চালায়। এ সময় আমির হামজার পরিবার ঠেকাতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয়। পরে তারা উল্টো আমির হামজাসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। সেখানে আমাকে সাক্ষী বানানো হয়েছে। সাক্ষী বানানোর বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তারা আমাকে না জানিয়ে সাক্ষী করেছেন।’
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. জাবেদ মাসুদ বলেন, ‘এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী নারী একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’