,

কাশিয়ানীর হাটবাজার নিম্নমানের সেমাইয়ে সয়লাব

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: ঈদকে সামনে রেখে কাশিয়ানী উপজেলার হাট-বাজার ভেজাল ও নিম্নমানের খোলা সেমাইয়ে সয়লাব হয়ে গেছে।

একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত লাভের আশায় বিভিন্ন নামী-বেনামী ব্র্যান্ডের নামে এসব নিম্নমানের খোলা ও ভেজাল সেমাই বাজারজাত করছেন।

নোংড়া পরিবেশে তৈরী এসব সেমাই খেয়ে দরিদ্র মানুষ নানা ধরণের দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।

সরেজমিনে উপজেলা সদরসহ রামদিয়া বাজার, ভাটিয়াপাড়া বাজার, জয়নগর বাজার, রাজপাট বাজার ও রাহুথড় হাট-বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, দোকানের সামনে বাঁশের তৈরী ঝুঁড়িতে খোলাভাবে সেমাই সাজিয়ে রেখে কেজি দরে দেদারছে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, নিম্নমানের এসব সেমাইয়ের মধ্যে লাচ্ছা সেমাইয়ে ভেজালের পরিমাণ বেশি। যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এছাড়া চিকন সেমাই তৈরীতে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ময়দা, বিষাক্ত কেমিক্যাল ও রং। খোলা, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শুকানোর পর তা প্যাকেটজাত করা হয় বিভিন্ন নামীয় প্রতিষ্ঠানের নামে। এসব সেমাইয়ের প্যাকেট বা ঝুড়ির গায়ে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কোন নাম ঠিকানা নেই। এমনকি উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের কোন তারিখ উল্লে¬খ নেই।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানান, এসব নিম্নমানের খোলা সেমাইয়ের বেশিরভাগ রাজধানী ঢাকার বাবুবাজার, ইসলামপুর, কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে।

কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোহাম্মদ ইকবাল খান বলেন, ‘নোংড়া পরিবেশে তৈরী সেমাই গ্রহণের ফলে মানুষের শরীরে ক্যান্সার, কিডনী, লিভারসহ নানা ধরণের কঠিন রোগের আশংকা রয়েছে। তাই এ ধরণের ভেজাল ও নিম্নমানের খোলা সেমাই পরিহার করা উচিত।’

এই বিভাগের আরও খবর