,

আত্রাই নদীতে মিলন মেলা

বিডিনিউজ ১০ ডটকম, নওগাঁ: লক্ষ্মী মানে শ্রী, সুরুচি। লক্ষ্মী সম্পদ আর সৌন্দর্যের দেবী বলে মনে করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। লক্ষ্মী প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে নওগাঁর রানীনগর উপজেলার কুজাইল বাজারে আত্রাই নদীর তীরে তিন দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। শত বছরের পুরনো ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে স্থানীয়রা এ মেলার আয়োজন করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রানীনগর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর রাজা কালীপ্রসন্ন রায়ের রাজত্ব পরিচালনার আগে থেকে লক্ষ্মী পূজা উপলক্ষে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় দুইশ’ বছর থেকে লক্ষ্মী প্রতিমা বিসর্জনের দিন থেকে এ মেলা শুরু হয়।

এ সময় নদীর দুই পাশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটে। মিলন মেলায় পরিণত হয় নদীর দুই পাড়। প্রায় শতাধিক নৌকা নদীতে নৌবহরে মেতে ওঠে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এরপর লক্ষ্মী প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয় নদীতে। এ মেলা উপলক্ষে গ্রামের বাড়ি বাড়ি আত্মীয়-স্বজনদের আগমন ঘটে। ধুম পড়ে যায় নানা মিষ্টি, মিটাই ও পিঠা তৈরির। বিশেষ করে ঈদের সময় মেয়ে ও জামাই আসতে না পারলেও এ মেলায় সময় আসেন। মেলা থেকে বড় বড় রুই, কাতলা, সিলভার ও পাঙ্গাস মাছ জামাই শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যান।

মেলার দ্বিতীয় দিন শনিবার ‘বউ মেলা’। বউ মেলায় বিশেষ করে নারীদের কসমেটিক সামগ্রীর দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। আশপাশের কয়েকটি গ্রামের শত শত নারীরা বউ মেলায় অংশ নেন।

কুজাইল গ্রামের বিকাশ চন্দ্র বলেন, আমাদের দুর্গাপূজার পর বড় উৎসব লক্ষ্মী পূজা। আত্রাই নদীতে নৌকায় করে প্রতিমা নিয়ে বিশাল নৌবহর শুরু হয়। এরপর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে গ্রামে মেলা শুরু হয়।

রানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আরিফ রাঙ্গা বলেন, শত বছরের পুরনো ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই এ মেলার আয়োজন। তবে মেলা উপলক্ষে পূর্ব থেকে কোনো প্রকার প্রচার প্রচারণার দরকার হয় না। সবাই এ মেলার বিষয়ে অবগত আছেন। যার কারণে লক্ষ্মী পূজার দিনে দর্শনাথীদের কোনো কমতি থাকে না।

এই বিভাগের আরও খবর