,

রাস্তায় সাপের ফিস ফিস শব্দ, চলাচলে সাহস পাচ্ছেন না কেউ

জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর সদরের দত্তবাড়িসংলগ্ন এলাকায় হঠাৎ বেড়ে গেছে সাপ আতঙ্ক। ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।

রাস্তায় বের হলেই সাপের ছোট ছোট বাচ্চা ফণা তুলে ফিস ফিস শব্দ করে। তাই সাপের ভয়ে ওই রাস্তা দিয়ে কোনো মানুষ চলাচল করতে সাহস পান না। গত এক সপ্তাহে পাঁচটি পদ্ম গোখরো সাপের বাচ্চা পিটিয়ে মারা হয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে- এখানে প্রায় ৭০-৮০টি সাপের বাচ্চা আছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকার এক যুবক গত ৯ নভেম্বর সকালে গরু নিয়ে মাঠে যাওয়ার সময় তিনটি সাপের বাচ্চাকে ইটের স্তূপের ওপর দেখতে পান। তখন ওই যুবক দুটি সাপকে মেরে ফেলেন। পরের দিন আবারও গরু নিয়ে যাওয়ার সময় আরও তিনটি সাপের বাচ্চা দেখতে পান। তখন ওই যুবক বাড়ির মালিক কাজল জ্যোতি দত্তকে বিষয়টি জানান।

কলেজছাত্র প্রতীক দত্ত বলেন, বিষধর পদ্ম গোখরা দেখে আমি জরুরি হটলাইন ৯৯৯-এ কল করি। তারা বন্য প্রাণী সংরক্ষণ, বন বিভাগের হটলাইনের নম্বর দেয়। সেখানে ফোন করার পর তারা বলেন, বাড়ির লোকজন সতর্ক থাকবেন এবং আশপাশে ইট সরিয়ে জঙ্গল পরিষ্কার করতে হবে। তাদের বারবার বলার পরও তারা কোনো রেসপন্স করেনি।

কয়েকটি ছবি পাঠিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্ন্যাক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা এই সাপকে পদ্ম গোখরা বলে উল্লেখ করেন এবং স্থানীয়দের ইটগুলো সরিয়ে ফেলতে বলেন।

এ বিষয়ে তারা বলেন, এ ধরনের সাপ সাধারণত ইটের ফাঁকে ও ডোবার পাড়ে বাসা বাঁধে ও বংশ বিস্তার করে।

এ বিষয়ে নাসিরনগর  উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দার বলেন, আমি এ বিষয়ে জানতে পেরেছি। বাড়ির আশপাশে জঙ্গল ও পুরনো ইটের স্তূপ থাকায় সাপ বাসা বেঁধেছে। তবে বাড়ির চারপাশে বোতলে কার্বলিক অ্যাসিড রাখলে তাদের গ্যাসের গন্ধে সাপ বাড়ির কাছে আসতে পারবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  হালিমা খাতুন জানান, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর