,

মা-বাবাকে নির্যাতনের মামলায় শিক্ষক কারাগারে

জেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী: পটুয়াখালী সদরে মা-বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগে স্কুলশিক্ষক মাহাবুব আলম লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পৌরশহরের কলেজ রোডের মৃধা বাড়ি সড়ক এলাকা থেকে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মাহবুবকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান।

তিনি জানান, রাতেই আদালতের মাধ্যমে মাহাবুবকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

৪০ বছরের মাহাবুব গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাউরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

মা-বাবাকে নির্যাতনের মামলায় মাহাবুবের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে তার স্ত্রী আকলিমা বেগমকেও। আকলিমা সদর উপজেলার আউলিয়াপুর বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

ওসি জানান, আকলিমা বাড়িতে না থাকায় তাকে রাতে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

পটুয়াখালী জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ছেলে ও পুত্রবধূর নামে গত ৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলা করেন আবুল হাশেম।

তার আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম রকি জানান, হাশেম পটুয়াখালী জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী প্রকৌশলী শাখায় চাকরি করতেন। ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে অবসরে যান।

পরিবার নিয়ে তিনি থাকতেন পৌর শহরের মৃধাবাড়ি সড়কে। সেখানে প্রায় ১২ বছর ধরে ছিলেন হাশেমের মেজ ছেলে মাহাবুব ও তার স্ত্রী আকলিমা।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময় বাবার কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নেন তারা। তা ফেরত চাইলে মা-বাবাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। তাদের নির্যাতনে অসুস্থ্ হয়ে কিছুদিন হাসপাতালেও ছিলেন হাশেমের স্ত্রী ফিরোজা বেগম।

সবশেষ গত বছরের শুরুর দিকে ওই বাড়ি থেকে মা-বাবাকে তাড়িয়ে দেন মাহাবুব ও তার স্ত্রী। তারা গ্রামের বাড়ি গলাচিপায় চলে যান। কিছুদিন পর আবার শহরে ফিরে ভাড়া বাসায় ওঠেন।

মামলায় আরও বলা হয়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি বড় ছেলে ফারুক হোসেন মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে গেলে মাহাবুবও সেখানে যান। তাদের মধ্যে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে বাবা ও বড় ভাইকে বঁটি দিয়ে কোপাতে যান তিনি। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে মাহাবুব চলে যান।

এই ঘটনায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে গিয়ে মামলার আবেদন করেন হাশেম। সেটি আমলে নিয়ে মাহাবুবকে গ্রেপ্তারের পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। আকলিমাকে তলব করা হয় আদালতে।

এই বিভাগের আরও খবর