,

বগুড়ায় এবার ধানের শীষের প্রার্থী মান্না!

ফাইল ছবি

বগুড়া প্রতিনিধি: জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবে- এমন ঘোষণা আসার পর বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনের বিএনপি প্রার্থীদের কপাল পুড়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ পর্যায়ে বিএনপির যেসব সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে ছিলেন এই ঘোষণার পরে তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তারা ধরেই নিয়েছেন এই আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন। সেক্ষেত্রে তারা প্রার্থী হতে পারছেন না।

বগুড়ার-২ (শিবগঞ্জ) আসনটিতে ১৯৭৩ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করতে পারেনি। এই আসনটিতে জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও জামায়াত থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে এসেছে। বিএনপির পাশাপাশি এটি জামায়াতের শক্ত ঘাঁটি হিসেবেও পরিচিত। বর্তমানে শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানও জামায়াতের। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থী মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেও বিএনপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট একেএম হাফিজুর রহমান নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বিএনপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট রেজাউল বারী ডিনা নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে বিএনপির অ্যাডভোকেট একেএম হাফিজুর রহমান দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ১৯৯১ সাল থেকে তিনবার এ আসনে নির্বাচন করেছেন। প্রথমবার জনতা মুক্তি পার্টির হয়ে, পরের দুই বার ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তবে তিনি এই আসনে জিততে পারেননি একবারও। এবার তিনি যে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন তা বিএনপির প্রার্থীরা ইতোমধ্যে জেনে গেছেন।

বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে ইতোমধ্যে এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট একেএম হাফিজুর রহমান, শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মীর শাহে আলম, জেলা বিএনপি নেতা এম আর ইসলাম স্বাধীন, সাবেক ড্যাব নেতা ডা. আসিফ মাহমুদ ও সাবেক নারী সংসদ সদস্য নুর আফরোজ বেগম জ্যোতি মনোনয়নপত্র কিনেছেন। মনোনয়ন নেয়া এসব প্রার্থীরা বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা ব্যস্ত থাকায় এ বিষয়ে কথা বলেননি।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা জানান, এখানে বিএনপি দুই/তিন ভাগে বিভক্ত। বিএনপির কেউ মনোনয়ন পেলে এই বিভক্তি না থাকার সম্ভাবনা ছিল।

তিনি আরও জানান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ছিলেন। বিভিন্ন কারণে তিনি আলোচিত-সমালোচিত। এখন ভোট পেতে শিবগঞ্জে আসলেও এখানকার মানুষ তাকে অতিথি পাখিই মনে করে। কারণ দীর্ঘদিন তিনি এলাকায় আসেন না। নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগই নেই। এই অবস্থায় হঠাৎ করে দল থেকে তাকে মনোনীত করা হলেও মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সেটি নাও মানতে পারে। ভোটারদের মধ্যেও এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ব্যাপারে কথা বলতে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর