,

গোপালগঞ্জে পুনরায় ভোট গণনার দাবি সড়ক অবরোধ

গোপালগঞ্জ প্রতনিধি: গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পরাজিত দুই চেয়াম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় ভোট গণনার দাবিতে দুইটি আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন।

গতকাল সোমবার রাত ৮টা থেকে গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া ও গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।

এর আগে সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদ হোসেন দিপু ও এস এম শাহ আলম। এ সময় পরাজিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আমেনা বেগম, নাহিদা খান মলি ও অনিমা সরকার উপস্থিত ছিলেন।

প্রার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, প্রশাসন কারচুপি করে ফলাফল পাল্টে দিয়েছে। গত রবিবার রাতে ফলাফল ঘোষণার এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফলাফল ঘোষণা বন্ধ করে দেয়া হয়। রাত ১২টার পর ফলাফল আবার ঘোষণা শুরু করা হয়। এ সময়ের মধ্যে ফলাফল পরির্বতন করা হয় বলে অভিযোগ করেন তারা।

ইভিএমে ভোট নেয়া হলেও হাতে লেখা রেজাল্ট পেয়েছেন প্রার্থীরা বলেও অভিযোগ করা হয়। এ সময় পুনরায় ভোট গণনার দাবি করে সড়ক অবরোধের ঘোষণা দেয়া হয়। এর আগে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম শাহ আলম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের সাতপাড়, বৌলতলী, কংশুর এবং গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কের কাঠি ও মাঝিগাতী নামক স্থানে ওই সব প্রার্থীর সমর্থকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত  অবরোধ চলছে। তবে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, অবরোধকারীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অবরোধ তুলে নেবে তারা।

গত রবিবার তৃতীয় দফায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জের ৫টি উপজেলায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু। টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় সোলায়মান বিশ্বাস, কোটালীপাড়া উপজেলায় বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, কাশিয়ানী উপজেলায় সুব্রত ঠাকুর ও মুকসুদপুর উপজেলায় কাবির। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১১৪টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়।

নির্বাচনে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৭ হাজার ৬৫০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. মাহমুদ হোসেন দিপু ঘোড়া প্রতীকে ৩৭৬২০ ভোট পেয়েছেন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এস এম শাহ আলম আনারস প্রতীকে ৩৪ হাজার ৫৯৪ ভোট পেয়েছেন।

গোপালগঞ্জের ৫টি উপজেলায় আওয়ামী লীগ থেকে কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়নি। তবে নির্বাচিত সবাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মি।

এই বিভাগের আরও খবর