গাইবান্ধা প্রতিনিধি: বাংলাভিশনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি আতিকুর রহমান ওরফে আতিক বাবুর বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে মামলাটি করেন সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউপির রিফাইতপুর গ্রামের অন্ধ হাফেজ মৌলভী মো. গোলজার রহমান। মামলা নম্বর ৬১।
এর আগে টাকা চুরির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গত বুধবার (২২ এপ্রিল) রাতে সদর থানায় আরও একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলা নম্বর ৫৫।
এক পর্যায়ে ২০১৬ সালে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের সার্কুলার দিলে গোলজার রহমানের ভাতিজা নিজাম উদ্দিনের ছেলে জনি মিয়া আবেদন করেন। এর কয়েকদিন পর আতিক বাবু নানার বাড়িতে বেড়াতে আসেন এবং জনিকে ডিসি অফিসে চাকরি নিয়ে দেবার কথা বলে ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর চার লাখ উনিশ হাজার টাকা নেন।
পরে আর জনি মিয়ার চাকরি হয়নি। এরপর আতিক বাবুর কাছে তারা টাকা ফেরত চাইলে পরের বছরের নিয়োগে চাকরি হবে বলে তাদের আশ্বাস দেয়া হয়। পরের দুই বছরের নিয়োগেও চাকরি না হলে টাকা ফেরত চায় ভুক্তভোগী পরিবারটি। তখন আতিক বাবু সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা শাখার হিসাব নম্বর ২০৯৪৭-৮৮ এর অনুকূলে ৭৩৬২৬৫০ নম্বর চেক দেয়। এতে চার লাখ উনিশ হাজার টাকা লেখা রয়েছে।
পরে চেক নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে যোগাযোগ করে জানা যায়, ওই হিসাব নম্বে কোনো টাকা নেই। এরপর আতিক বাবুর কাছে টাকা চাইতে গেলে নানা ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়।
মামলা দায়েরের পর ভুক্তভোগী অন্ধ হাফেজ মৌলভী মো. গোলজার রহমান বলেন, জমি বিক্রি, ধারদেনাসহ সুদের উপর টাকা নিয়ে আতিক বাবুকে দেয়া হয়। চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে ভুয়া চেক দেয়।
এক পর্যায়ে আমার ছেলে জিহাদ আতিক বাবুর কাছে টাকা চাইতে গেলে ওকে মানসিকভাবে খুব টর্চার করে। সেদিন আতিক বাবুর বাড়ি থেকে জিহাদ ঘুরে এসে রাতে অসুস্থ হয়েপড়ে। কয়েকদিন পর ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জিহাদ মারা যায়। টাকা চাইলে এখনও হুমকি দেয় আতিক বাবু। জিহাদের অকাল মৃত্যুর ঘটনায় আতিক বাবুই দায়ী বলে তিনি অভিযোগ করেন ও হত্যাকারীর বিচার দাবি করেন।
গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।