,

‘গরীবের চাল’ পাচারকালে ধরল জনতা

জেলা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ: দুইদিন আগে নির্দিষ্ট তারিখেই ভিজিএফের চাল দেওয়া সম্পন্ন ঘোষণা করেন ইউপি চেয়ারম্যান। কিন্তু অনেকেই বলছিলেন তারা চাল পাননি। পরিষদে গিয়ে ঘুরঘুর করলেও কোনো ফায়দা হয়নি। জানানো হয় চাল দেয়া শেষ।

কিন্তু শনিবার বিকেলে ৪২ কার্ডধারীর ১০ কেজি করে চাল চেয়ারম্যানের নির্দেশে তিন গ্রামপুলিশ ইজিবাইকে তুলে দেয়। পরে তা বিক্রির উদ্দেশ্যে নেওয়ার সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে। এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদে। স্থানীয় লোকজন জানায়, ইজিবাইকে নয় বস্তা চাল ছিল। প্রতি বস্তায় এক মণের বেশি চাল হতে পারে।

ইউপি কর্তৃপক্ষ আটক চালগুলো ভিজিএফ (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) বরাদ্দের বলে দাবি করলেও পাচারের সময় সেখানে কার্ডধারী লোকজন উপস্থিত ছিলেন না। খবর পেয়ে নান্দাইল ইউপি ভবন চত্বরে গিয়ে লোকজনের ভিড় দেখা যায়। সেখানে দুটি ইজিবাইক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। একটি ইজিবাইকে চালের বস্তাগুলো বোঝাই করা ছিল। অপরটি খালি।

চাল বোঝাই ইজিবাইকের মালিক আহাম্মদ আলী বলেন, হেমগঞ্জ বাজারের চাল ব্যবসায়ী মহব্বত আলীর ছেলে আল আমীন চালের বস্তাগুলো নেওয়ার জন্য তাঁকে ভাড়া করেছিল। ইউপির গুদাম থেকে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা চালের বস্তাগুলো তাঁর গাড়িতে তুলে দেয়। চাল নিয়ে যাবার সময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে বাধা দিলে তিনি যেতে পারেননি।

হেমগঞ্জ বাজারে অবস্থিত দোকানে গিয়ে ব্যবসায়ী আল আমীনকে পাওয়া যায়নি। তাঁর বাবা মহব্বত আলী তাঁর ছেলে কোথায় আছেন বলতে পারেননি।

ইউপি ভবনের বারান্দায় রাখা টেবিলে বসে পাহারা দিচ্ছিলেন মো. জালাল উদ্দিন, ওমর ফারুক ও মাজহারুল ইসলাম। তাঁরা এই ইউপির গ্রাম পুলিশ সদস্য। তাঁদের মধ্যে মো. জালাল উদ্দিন বলেন, চেয়ারম্যান তাঁদেরকে গুদাম থেকে ৪২ টি কার্ডের (প্রতি কার্ড ১০ কেজি চাল বরাদ্দ) চাল দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে ওই সময় ইউপিতে কোনো কার্ডধারী উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান তিনজন।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন কাজল কালের কণ্ঠকে বলেন, এসব চাল ভিজিএফ কার্ডধারীদের। তবে অধিকাংশ দলের লোকজনের। তাঁরাই এক সাথে নিয়ে যাচ্ছিল। বাইরে কি করবে তা তো পরিষদ জানবে না”।

এই বিভাগের আরও খবর