,

কাশিয়ানীতে গার্মেন্টসকর্মীকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি এলাকাবাসী, ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাড়িতে ঢুকলো

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: ঢাকা থেকে আসা শারমিন সিরাজ (৩৫) নামের এক নারী গার্মেন্টসকর্মীকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৮টায় কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ওই নারীকে বাড়িতে তুলে দিয়ে একটি ঘরে হোমকোয়ারিন্টাইন নিশ্চিত করেন।

শনিবার বিকালে উপজেলার বাগঝাপা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

শারমিন সিরাজ ওই গ্রামের ভ্যানচালক সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। তিনি বাবার বাড়িতে থেকে বসবাস করেন এবং ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।

স্থানীয়রা জানান, শারমিন সিরাজ দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কর্মী হিসেবে কাজ করেন। শনিবার বিকালে ঢাকা থেকে নিজ গ্রামে আসেন তিনি। ঢাকা থেকে আসায় তিনি করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন এমন সন্দেহে এলাকার কতিপয় লোকেরা শারমিনকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। বাধ্য হয়ে বিকাল থেকে রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত ওই এলাকায় একটি নির্জন স্থানে অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে শারমিন সিরাজকে বাড়িতে তুলে দেন এবং তাদের বসত ঘরের পাশে একটি ঘরে ‘হোম কোয়ারিন্টাইন’ নিশ্চিত করেন।

কাশিয়ানী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিজামুল আলম মোরাদ বলেন, ‘গার্মেন্টসকর্মী শারমিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা থেকে এলাকায় এসেছে এমন খবর পাওয়ার পর এলাকাবাসী তাকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। একজন নারী গার্মেন্টসকর্মীর সাথে এলাকাবাসী যে আচরণ করেছে তা খুবই অমানবিক। তবে তিনি মানবিক ইউএনও সাব্বির আহমেদের সহযোগিতায় বাড়ি ঢুকতে পেরেছেন।’

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘শারমিন সিরাজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর করোনার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে এবং করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর