বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ ও তার ছেলে উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক হুসাইন শরিফ সঞ্চয় স্থানীয় এক সাংবাদিককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় মারপিটের পর সাংবাদিকের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থতলা একাডেমিক ভবনের ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর রাত ৮টায় তাদের মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা ফেরত দেয়া হয়।
মহাস্থান প্রেসক্লাবের সভাপতি ও মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য (অভিভাবক) সাইদুর রহমান সাজু জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থতলা একাডেমিক ভবনের ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন- তার ছেলে হুসাইন শরিফ সঞ্চয়। অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন- বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও এমপির ভগ্নিপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম দুলালসহ অন্যান্য অতিথি।
অনুষ্ঠানে লোকজনের আশানুরূপ উপস্থিতি না থাকায় প্রধান অতিথি বিদ্যালয়ের সভাপতি ও কমিটির অন্যান্য সদস্যদের ওপর ক্ষুদ্ধ হন। একপর্যায় তিনি অফিস থেকে বের হয়ে অনুষ্ঠানে লোকজনের উপস্থিতি কম হওয়ার কারণে সাজুর কাছে কৈফিয়ত চান। এ সময় তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই এমপি নিজেই তাকে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন।
একপর্যায়ে এমপির ছেলে হুসাইন শরিফ সঞ্চয় ও তার সঙ্গে থাকা শেখ ফজলুল বারী বিদ্যালয়ের কমন রুমে নিয়ে গিয়ে মারপিট ও লাঞ্ছিত করে তার ব্যবহৃত ক্যামেরা ও মোবাইল দুইটি ফোন কেড়ে নেন। সে সময় দৈনিক বগুড়ার মহাস্থান প্রতিনিধি এস আই সুমন ও নুরন্নবী রহমান ওই ঘটনার ছবি তুলতে চেষ্টা করলে তাদের ব্যবহৃত ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয়।
বিষয়টি শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির ও শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমানকে মহাস্থান প্রেসকাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বলে সাংবাদিক সাজু জানান।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় এমপি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ বলেন, অনুষ্ঠানের দাওয়াত কার্ড ঠিকমতো না পৌঁছানোর কারণে সাজুর ওপর ক্ষুদ্ধ হয়েছি। তবে কোনো মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, সাজু সাংবাদিক হিসেবে নয়, কমিটির সদস্য হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিল।