,

ব্যারিস্টার পরিচয়ে তারা হাতিয়ে নিত লাখ লাখ টাকা!

ফাইল ফটো

জেলা প্রতিনিধিচট্টগ্রামে ব্যারিস্টার পরিচয়ে আদালতে দালালের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট বাগিয়ে এনে মামলায় জামিন করিয়ে দেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কামরুল ইসলাম হৃদয় এবং জসীম উদ্দিন নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

সাধারণ মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তাদেরকে আটক করে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি।

জানা যায়, তাদের নেই কোন এলএলবি সনদ বা বার কাউন্সিলের অনুমোদন। এমনকি আইন বিষয়ে কোনো পড়া-লেখাই করা হয়নি। তারপরেও তারা সাধারণ মানুষের কাছে ব্যারিষ্টার হিসাবেই পরিচিত। আদালতে দালালের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট বাগিয়ে এনে মামলায় জামিন করিয়ে দেয়ার নাম করে হাতিয়ে নিতো লাখ লাখ টাকা।

ধরা পড়ার কিছুক্ষণ আগেও দাপটের সাথে কামরুল ইসলাম হৃদয় ব্যারিষ্টার পরিচয়ে মামলা থেকে জামিন করানোর পাশাপাশি বিবাহ বিচ্ছেদ করিয়ে দেয়ার নাম করে হাতিয়ে নিয়েছে হাজার হাজার টাকা। আর জসীম উদ্দিন উচ্চ আদালত থেকে জামিন করিয়ে দেয়ার বিজ্ঞাপন হিসাবে বিজনেস কার্ডও তৈরি করেছে।

এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমার একটা ডিভোর্স করানোর দরকার ছিল। কামরুল ইসলাম আমার কাছে নিজেকে ব্যারিস্টার পরিচয় দিয়ে বলল সে ডিভোর্সটা করিয়ে দিবে। একথা বলে সে আমার কাছ থেকে ৩৭ হাজার টাকা নিয়েছে।’

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জানান, চট্টগ্রামের পাশাপাশি ঢাকাতেও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘ব্যারিস্টার পরিচয়ে তারা বিভিন্ন মানুষ থেকে মামলা নিত। তারপর তারা ঢাকা হাইকোর্টে এবং চট্টগ্রামে মামলা পরিচালনা করত।

আটককৃত দু’জনই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, আইনি কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও তারা নিজেদের ব্যারিষ্টার এবং আইনজীবী হিসাবে পরিচয় দিতো।

আটককৃত কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে একটা চক্র আমাকে এই কাজের সাথে সংযুক্ত করে দিয়েছে।’

আটককৃত জসিম উদ্দিন বলেন, ‘হাইকোর্টের বিভিন্ন আইনজীবীর সাথে আমার সম্পর্ক আছে তাই আমি বিভিন্ন মানুষকে জামিন করার চেষ্টা করতাম।’

প্রতারক আটকের ঘটনায় চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় আলাদা দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর