,

কাশিয়ানীতে খুলছে দোকানপাট, বাড়ছে শঙ্কা

লিয়াকত হোসেন লিংকন: শর্ত সাপেক্ষে সরকার দোকান, মার্কেট ও শপিং সেন্টার খোলার অনুমতি দেয়ায় কাশিয়ানী উপজেলার অধিকাংশ দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে।

রোববার সকাল থেকে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকাপাটগুলো খুলতে শুরু করে। প্রথম দিনেই উপজেলা সদরের মার্কেটগুলোতে ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। কিছু কিছু দোকানে স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দিষ্ট দূরত্ব মানা হলেও অধিকাংশতেই তা মানতে দেখা যায়নি। এতে ব্যাপকহারে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সচেতন মানুষ।

রোববার সরেজমিনে কাশিয়ানী উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, একদিনের ব্যবধানে পাল্টে গেছে হাট-বাজারের চিত্র। বেড়েছে জনসমাগম। মোজাহের মার্কেট, হাজী মার্কেট, দত্ত মার্কেট, ঐশী বস্ত্রালয়, বিনোদ মার্কেট, খান সেন্টার, সিকদার মার্কেটসহ বিভিন্ন বিপনীবিতান ও শপিংমলগুলো খুলেছে। ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেটগুলোতে নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণীদের ভিড়। তবে কেউ সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। প্রতিটি দোকানে হাত ধোঁয়ার পানি, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখার কথা থাকলেও তা অধিকাংশ দোকানে নেই। আবার কোন কোন দোকানে থাকলেও কেউ তা ব্যবহার করছেন না।

ফটোকপি ব্যবসায়ী রিয়াদ আলম বলেন, ‘দেড় মাস দোকান বন্ধ রেখে অনেক কষ্টে সংসার চালাচ্ছি। বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে। পেটের দায়ে করোনা ঝুঁকির মধ্যেও দোকান খুলতে বাধ্য হয়েছি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মুহাম্মাদ ইকবাল খান বলেন, ‘দোকানপাট খোলায় মানুষ হাট-বাজারে, মার্কেটে কেনাকাটা করতে ঘোরাঘুরি করছে। একটি পণ্য একাধিক ক্রেতা স্পর্শ করছে। এসব পণ্য থেকে জীবানু ছড়ানোর আশংকা রয়েছে। ফলে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশংকা রয়েছে।’

কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ কাইয়ূম তালুকদার জানান, কাশিয়ানীতে প্রথমবারের মতো ৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আইসোলেশন ওয়ার্ড ও ঢাকা মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তারা সকলে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে যান। পরববর্তীতে আবারও নতুন করে একই পরিবারে তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। বর্তমান তাদেরকে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আইসোলেশন ওয়ার্ড চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর