বিশেষ প্রতিবেদক: দরজায় কড়া নাড়ছে জাতীয় লিগ। আর মাত্র ৪ দিন পরই শুরু হচ্ছে দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় আসর। তার আগে চলছে ফিটনেস যাচাইয়ের কাজ। এখন চলছে বিপ টেস্ট।
আজ রোববার পর্যন্ত সেই বিপ টেস্টে উত্তীর্ণ হতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত হয়ত ঠিকই জাতীয় লিগ খেলবেন আব্দুর রাজ্জাক। কেমন মান এখন জাতীয় লিগের? কি ধরনের উইকেটে খেলা হলে ক্রিকেটার ও দেশের ক্রিকেটের জন্য মঙ্গল হবে?
আজ মিডিয়ার সাথে তা নিয়ে বেশ খোলামেলা কথা বলেছেন রাজ্জাক। তার ধারণা, গত পাঁচ বছর জাতীয় লিগের মান উন্নত হয়েছে। খেলোয়াড়দের ভাল খেলার তাগিদ বেড়েছে। ব্যাটসম্যানরা এখন সেঞ্চুরি করেই ক্ষান্ত হয় না। ইনিংস বড় করার বাসনা তীব্র হয়েছে।
রাজ্জাকের ভাষায়, ‘শেষ পাঁচ বছরে যা খেলেছি, তাতে আমার মনে হয়েছে লিগ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ হয়। প্রতিটি খেলোয়াড় যার যার জায়গা থেকে পারফর্ম করতে পারে। বোলাররা চায় পাঁচটি কিংবার তার বেশি উইকেট পেতে। ব্যাটসম্যানরা সেঞ্চুরি করেও থামতে চায় না। এখন একশতে মন ভরে না। দুইশ আড়াইশ কিংবা তিনশ’ও করতে চায়। এটা দারুণ। যেভাবে এগুচ্ছে, খারাপ বললে ভুল হবে। কিছু কিছু সিস্টেম আমাদের দেশে যেভাবে চালু হয়েছে সেটা পরিবর্তনের জন্য সময় লাগবে। টার্নওভারের সময়টা একটু ক্রশিয়াল হয়। এখন সেই টার্নওভারের সময়টা হয়েছে।’
কেমন উইকেটে খেলা হলে ভাল হয়? এ প্রশ্নের জবাবে রাজ্জাক বলেন, ‘তিন ধরণের উইকেটেই যদি খেলতে পারি, তাহলে আরও ভালো হবে। এটা আমার চিন্তা। এটা করলে ভালো হবে। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেললে আমরা টার্নিং উইকেট নিয়ে থাকি। ওদের দলে যদি একটা-দুইটা স্পিনার থাকে, তাহলে তাদের জন্য আমাদের ভয় পেতে না হয় এ জন্য যেন আমরা জাতীয় লিগে এই প্রস্তুতিটা নিয়ে থাকি। ওই স্পিনের উইকেটে খেলার জন্য আপনি ঘরোয়া লিগে একই উইকেটে খেলান তাহলে ওদের স্পিনার থাকলে আমাদের ভয় না হয়। তাতে আমাদের ব্যাটসম্যানরা পরিস্থিতি হ্যান্ডেল করতে পারে।’
রাজ্জাকের ধারণা, ‘বিভিন্ন দলের হয়ে আমাদের পরিস্থিতি হয়তো বাধ্য করবে ব্যাটিং উইকেট বানাতে। ব্যাটসম্যানদের যেন ওই মানসিকতা থাকে যে আমাদের কিভাবে ব্যাটিং করতে হবে, লম্বা টাইম ধরে খেলতে পারব। এজন্য ব্যাটিং উইকেট প্রয়োজন।’
আর সীমিং কন্ডিশনে খেলা সম্পর্কে রাজ্জাকের মত হচ্ছে, ‘সিমিং কন্ডিশন- আমাদের বাইরে যেতে হয়। ইংলিশ কন্ডিশনে যে দেশেই যাবো আমাদের জন্য ঘাসের উইকেট ওরা অফার করবে। সেটার জন্য আমাদের সিমিং উইকেট তৈরি করলেই হয়। এটা যে আমার মাথায় আসছে তা না, হয়তো উনাদের মাথায়ও আছে। মনে হয় সেটা হয়ে যাবে।’