,

সোনার বাংলাদেশ গড়াই আমাদের লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ফটো

বিডিনিউজ ১০, ডেস্কবঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ গড়াই আমাদের লক্ষ্য। ৭৪ সালে জাতির পিতা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যে আইন করে দিয়েছে অর্থাৎ একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সমস্ত কাঠামো নীতিমালা, বিধিমালা যা যা দরকার হতে পারে সবই করে দিয়ে গেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রোমের পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে এতো কাজ জাতির পিতা কীভাবে করে গেলেন তা আমার বুঝে আসে না। তার লক্ষ্য বাংলাদেশকে সুন্দর ভাবে সাজানো।

বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাবে না এটা বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি মানুষ সুন্দর জীবন পাবে, লেখাপড়া শিখবে। চিকিৎসা পাবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সে কাজ সম্পন্ন করে যেতে পারেননি। একদিকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পথে যখন যাত্রা শুরু করলেন। আমাদের দুর্ভাগ্য ৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হলো।

রোম-ঢাকা-রোম রুটে বিমান বাংলাদেশ পুনরায় চালুর দাবির বিষয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ইতোমধ্যে ১২টা বিমান রয়েছে আরও তিনটি খুব শীঘ্রই যোগ হবে। অনেক দেশের বিমান সমস্যা সমাধান হয়েছে। ইতালিতে বিমান চালুর ব্যাপারে দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে যারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে তাদের ভাগ্য আজ কঠিন।

শেখ হাসিনা বলেন, ঘুষ নেওয়া ও দেওয়া দুইটাই অপরাধ। এই কালচার বিএনপি শুরু করে।

ইতালি আওয়ামী লীগ সভাপতি ইদ্রিস ফরাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবালের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এ সময় রোমে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবাহান সিকদার ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতানা শরীফ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জার্মান, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠের নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য, চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুইজেপ্পে কোন্তের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে তিনটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দুই দেশের প্রস্তাবিত এই চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে সাংস্কৃতিক বিনিয়োগ, রাজনৈতিক আলোচনা এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে আলোচনা। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর একটি যৌথ ইশতেহার জারি করা হবে উল্লেখ করার কথা রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বুধবার বিকালে ইতালি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পূর্বে সকালে ভিয়া ডেল আন্তারতিদ এলাকায় রোমে বাংলাদেশ সরকারের ক্রয়কৃত নিজস্ব দূতাবাস ভবনের উদ্বোধন করবেন।

পরে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। তারপর প্রধানমন্ত্রী দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ট্রেনে করে মিলান শহরের উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় মিলান সেন্ট্রাল স্টেশনে পৌঁছাবেন।

এই বিভাগের আরও খবর