বিনোদন ডেস্ক: বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে আলোচিত প্রার্থী ছিলেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।
এর মধ্যে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মাত্র ৮৩৪ ভোটে হেরে গেছেন হিরো আলম।
এই আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক জাসদের একেএম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল) বেসরকারিভাবে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
তবে জামানত হারাতে যাচ্ছেন বগুড়া-৬ আসনে।
বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনের ফল কারচুপি করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন হিরো আলম। ন্যায়বিচার পেতে উচ্চ আদালতেও যাওয়ার কথা বলছেন তিনি।
তিনি বলেন, শুরু থেকে দুই আসনেই ভোটের মাঠ চাঙ্গা ছিল। কিন্তু বগুড়া-৬ আসনে ভোট শুরুর পর চিত্র পাল্টে যায়। অনেক কেন্দ্র দখল করা হয়। আমার নির্বাচনি এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়, মারধর করা হয়। সার্বিক পরিস্থিতিতে বগুড়া সদরে জয়ের আশা বাদ দিতে হয়েছে। সেখানে পরিকল্পিতভাবে আমাকে হারিয়ে দেওয়ায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
তবে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে সুষ্ঠুভাবে ভোট হয়েছে। বিজয়ও সুনিশ্চিত ছিল। কিন্তু কারচুপির মাধ্যমে সেখানে ফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এ আসনে ভোট চুরি হয়নি, লজ্জাজনকভাবে ফল চুরি হয়েছে। ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে গিয়ে আমাকে বিপুল ভোট দিয়েছেন। কিন্তু তথাকথিত শিক্ষিত কর্মকর্তারা আমার মতো অশিক্ষিত মূর্খ ছেলেকে ‘স্যার’ ডাকতে হবে, এতে তাদের মান সম্মান থাকবে না, শুধু এ কারণে মুহূর্তের মধ্যে ফল পাল্টে দিয়েছেন।