,

প্রশিক্ষণ পাবে এক লাখ বেকার

বিডিনিউজ ১০ ফিচার ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রগ্রামের (সেইপ) আওতায় বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিংয়ের (বিপিও) পাঁচ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)। এতে মোট এক লাখ বেকার প্রশিক্ষণ পাবে। এরই মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৭৮৪ জন প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১ হাজার জন প্রশিক্ষণ পাবেন। এ প্রকল্প চলমান থাকবে ২০৩০ পর্যন্ত। ঢাকার ১৭টি, চট্টগ্রাম ও যশোরের একটি করে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

কেন এই প্রশিক্ষণ

সেইপ প্রকল্পের বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়কারী মো. মাহতাবুল হক বলেন, ‘বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং খাতে দেশে দক্ষ জনবল তৈরিই মূল লক্ষ্য। আউটসোর্সিং খাতের বড় একটা বাজার রয়েছে। মূলত সেটিকে লক্ষ্য রেখে দক্ষ কর্মী গড়ে তুলতে এ উদ্যোগ। এ খাতের একজন দক্ষ কর্মী শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও কাজের সুযোগ পাবে।

বিষয়, মেয়াদ ও যোগ্যতা

দ্বিতীয় পর্যায়ে আড়াই মাস মেয়াদি প্রফেশনাল কাস্টমার সার্ভিস কোর্সটিতে প্রশিক্ষণ পাবে আট হাজার ২০০ জন। প্রফেশনাল ব্যাক অফিস সার্ভিস কোর্সের মেয়াদও আড়াই মাস। এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাবে এক হাজার ৭০০ জন। দুই মাস মেয়াদি প্রফেশনাল ডিজিটাল কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাবে ৪০০ জন। তিন মাস মেয়াদি ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং আউটসোর্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাবে ৩০০ জন। আড়াই মাস মেয়াদি মেডিক্যাল স্কাবিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাবে ৪০০ জন। সব বিষয়ে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে ন্যূনতম স্নাতক বা চার বছরমেয়াদি ডিপ্লোমা। বয়সসীমা ১৮ থেকে ৪৫ বছর।

আবেদন যেভাবে

আবেদন ফরম পাওয়া যাবে বাক্যর ওয়েবসাইটে ((www.bacco.org.bd))। বাক্য মনোনীত ১৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে। কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কী কী বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তা জানা যাবে ওয়েবসাইটে। সরাসরি অফিসে গিয়েও জানা যাবে দরকারি তথ্য। মনোনীত প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা বাক্যর ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। আবেদন ফরম পূরণ করে পাসপোর্ট আকারের দুই কপি ছবি, চারিত্রিক সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের সত্যায়িত কপিসহ জমা দিতে হবে।

প্রার্থী নির্বাচন যেভাবে

তিন মাস পর পর ভর্তি নেওয়া হয়। অফিস চলাকালে নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে হাতে হাতে, ডাকযোগে বা ই-মেইল করে আবেদনপত্র পাঠানো যাবে। খামের ওপর বিষয়ের নাম উল্লেখ করতে হবে। আবেদন যাচাই-বাছাই করে ডাকা হবে মৌখিক পরীক্ষার জন্য। মো. মাহতাবুল হক জানান, সাক্ষাত্কারের মাধ্যমে বাছাই করা হবে। তবে প্রতিষ্ঠানভেদে নেওয়া হতে পারে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা।

সাক্ষাত্কারে শিক্ষাগত যোগ্যতা, কম্পিউটার জ্ঞান, উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা, আচার-ব্যবহার, কেন প্রশিক্ষণ নিতে চায় জানতে চাওয়া হতে পারে। দেখা হতে পারে আউটসোর্সিং কাজের প্রতি আগ্রহ। অগ্রাধিকার পাবে বেকার, আদিবাসী, নারী, প্রতিবন্ধী ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী। প্রার্থীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। সেপ প্রজেক্টের অন্য কোনো প্রশিক্ষণে ভর্তি হলে বা আগে প্রশিক্ষণ নিলে আবেদন করা যাবে না।

প্রশিক্ষণের ধরন

বিপিও খাতের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকরা প্রশিক্ষণ দেবেন। থিউরিক্যাল এবং প্রাকটিক্যাল এই দুই পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সপ্তাহে পাঁচ দিন ক্লাস হবে। সকাল, দুপুর ও বিকেল—তিন শিফটে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রতি ব্যাচে ভর্তির সুযোগ পাবে ২৫ জন।

মিলবে ভাতা ও চাকরি

কোর্স শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মূল্যায়নের জন্য নেওয়া হবে পরীক্ষা। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে মিলবে সনদ। ৮০ শতাংশ উপস্থিতি থাকলে দৈনিক ১০০ টাকা হারে যাতায়াত ভাতা দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ নেওয়া ৬০ শতাংশ প্রশিক্ষণার্থীর চাকরির ব্যবস্থা করবে আয়োজকরা। তবে সবার চাকরি পাওয়ার বিষয়ে সহায়তা করে কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ জানবেন যেভাবে

বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। বাক্যর ওয়েবসাইটে এবং মনোনীত প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে ভর্তি তথ্য পাওয়া যাবে। বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে বাক্যর ওয়েবসাইটে (www.bacco.org.bd)। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য), অ্যাপার্টমেন্ট বি-২, বাড়ি ৫৯, রোড-২৮, গুলশান-১, ঢাকা ঠিকানায় সরাসরি ও ০৯৬১৪৩৩৪৪৫৫ নম্বরে ফোন করেও জানা যাবে দরকারি তথ্য।

এই বিভাগের আরও খবর