,

ঝালকাঠিতে ইজতেমা নিয়ে তাবলিগের দুই গ্রুপে উত্তেজনা

ইজতেমা নিয়ে তাবলিগের দুই গ্রুপে উত্তেজনা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠি জেলা ইজতেমা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভী ও ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। সেইসঙ্গে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাওলানা সাদ অনুসারীরা ঝালকাঠিতে ইজতেমার আয়োজন করেন। কিন্তু মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা বন্ধে করতে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে মাওলানা সাদ অনুসারীরা ইজতেমার অনুমোদন চেয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেন। এ নিয়ে দুই গ্রুপের উত্তেজনা দেখা দেয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদের অনুসারীরা আগামী ২২, ২৩ ও ২৪ নভেম্বর ইজতেমা করার ঘোষণা দিয়েছেন। এর জন্য প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়েছেন। কিন্তু তাবলিগের অপরপক্ষ ইজতেমা বন্ধ করতে চাইছেন। ফলে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে উত্তেজনা দেখা দেয়।

মাওলান সাদ অনুসারী তাবলিগ জামাতের ঝালকাঠি শাখার অন্যতম নেতা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, আমরা ২০১৬ সালেও ঝালকাঠিতে ইজতেমা করেছি। সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য জেলাভিত্তিক ইজতেমা চালু করেছি। জেলা প্রশাসক ইতোমধ্যে আমাদের মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন। সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।

অনুমতি না পেলে কী করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। অনুমতি না পেলে আমরা বিকল্প চিন্তা করব।

অন্যদিকে মাওলানা জোবায়েরের অনুসারী ঝালকাঠি শাখার নেতা গোলাম মোস্তফা খান বলেন, আগামী ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি ঢাকার টঙ্গিতে প্রথম ধাপের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এই ধাপের ইজতেমায় ঝালকাঠি অংশ নেবে। দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে ২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি। এই ইজতেমার গুরুত্ব কমাতে ঝালকাঠিতে ইজতেমা আয়োজন করা হচ্ছে। তাই ইজতেমা যাতে না হয় আমরা সে দাবি জানাই। জেলা প্রশাসন থেকে যদি এই ইজতেমার অনুমতি দেয়া হয় তাহলে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসন থেকে ঝালকাঠিতে ইজতেমা করার জন্য এখন পর্যন্ত অনুমতি দেয়া হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর