কিংবদন্তি ব্যান্ড শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহে তার জানাজা হয়। জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নেন।
প্রথম জানাজার পর আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ মগবাজারে তাঁর নিজের স্টুডিও এবি কিচেনে নিয়ে যাওয়ার কথা। আইয়ুব বাচ্চুর দ্বিতীয় জানাজা হবে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। দ্বিতীয় জানাজা শেষে এই শিল্পীর মরদেহ ফের হিমঘরে রাখা হবে।
এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কিংবদন্তি ব্যান্ড শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ। শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টায় তার মরদেহ শহীদ মিনারে নেয়া হয়। সেখানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের তত্ত্বাবধানে অনুরাগী-শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সর্বস্তরের মানুষ জানান ভালোবাসার ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি।
তার মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে আসেন কুমার বিশ্বজিৎ, মানাম আহমেদ, শাফিন আহমেদসহ সংগীত ভুবনের অনেক তারকা। এ ছাড়া ছিলেন অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা ও শমী কায়সার।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গও এসেছিলেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাসভবন থেকে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর আগে এ রকস্টারের বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তাকে ভারতীয় উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ গিটারিস্ট বলা হয়ে থাকে।
আইয়ুব বাচ্চু চলে গেলেও তার গান ও গিটারের ছয় তারের সুর বাঙালি শ্রোতাদের হৃদয়ে ধ্বনিত হবে আজীবন। ব্যান্ড দল এলআরবির লিড গিটারিস্ট ও ভোকালিস্ট আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং প্লেব্যাক শিল্পী।
দুই সন্তানের অপেক্ষায় রয়েছে বাবার মৃতদেহ। কানাডায় রয়েছেন আইয়ুব বাচ্চুর ছেলে আহনাফ তাজোয়ার। তিনি পরিসংখ্যান বিষয়ে পড়াশোনা করছেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়ায়। মেয়ে ফাইরুজ সাফরা আইয়ুব থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। আজ দুজনেই উড়ে আসছেন বাবাকে শেষ দেখা দেখতে। শনিবার দুপুরে মায়ের কবরেই সমাহিত করা হবে আইয়ুব বাচ্চুকে।
বৃহস্পতিবার আইয়ুব বাচ্চুর আকস্মিক মৃত্যুর খবর শুনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।