খুলনা: খুলনার পাইকগাছায় লস্কর-পাইকগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসার সুপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার ব্যক্তির নাম হাবিবুর রহমান (৫৫)। তিনি কয়রা উপজেলার খিরোল গ্রামের মো. আব্দুল হাকিম সর্দারের ছেলে।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম জেলার পাইকগাছা উপজেলার ভিলেজ পাইকগাছা গ্রামে নানা বাড়িতে থেকে একই এলাকায় অবস্থিত লস্কর-পাইকগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। করোনার কারণে মাদরাসা বন্ধ থাকলেও প্রতি রোববার মাদরাসার সুপার হাবিবুর রহমান ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা নিতেন।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকালে মাদরাসার সুপার ওই ছাত্রীর নানার বাড়িতে গিয়ে তাকে ডাক দেন এবং মাদরাসায় যেতে বলেন। সকাল ৮টার দিকে মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে আসে এবং নানিকে বলে, মাদরাসার হুজুর পড়ার কথা বলে তাকে তার শোয়ার ঘরে নিয়ে তার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছেন।
এ ঘটনায় বুধবার (২ ডিসেম্বর) নানি বাদী হয়ে মাদরাসা সুপারের নামে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করেন মাদরাসা সুপার হাবিবুর রহমান। তার দাবি, কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজ শফী জানান, মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতেই ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসার সুপারকে গ্রেফতার করা হয়। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।