,

ঘন কুয়াশায় ঢাকা দিনাজপুর

জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর: শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ভোর ৫টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত দিনাজপুর জেলা ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছিল। এ সময় জেলার ছোট বড় সব সড়কে  ও মহাসড়কে দূরপাল্লা-সহ সকল যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলেছে ধীর গতিতে। আশ্বিনের শেষে ঘন কুয়াশা আগাম শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে।

ভোরে ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশার স্নিগ্ধতার মাখামাখিতে দিনাজপুরে এখন এক অন্যরকম প্রাকৃতিক পরিবেশ বিরাজ করছে।

কুয়াশামাখা মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন ভোরে ফজরের নামাজের মুসল্লি, কাজে বের হওয়া শ্রমিক ও হাঁটতে বের হওয়া মানুষরা। ঘুম ভেঙে কুয়াশা দেখে মানুষ বলছে, আশ্বিনের শেষে ঘন কুয়াশা কার্তিক মাসেই এবার শীতের আগমন ঘটবে।

তবে এ সময়ে এমন ঘন কুয়াশার আবির্ভাবকে স্বাভাবিক মনে করছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

উপশহর মিস্ত্রী পাড়া মহল্লার বিআরডিপির অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা আইনুল হক বলেন, আজ আশ্বিন মাসের ২৯ তারিখ। এই মাসের শেষে এমন ঘন কুয়াশা গত কয়েক বছর দেখেনি দিনাজপুরবাসী। হাঁটতে খুব ভালো লাগছে, আজকের দিনে কুয়াশা জানান দিচ্ছে যে শীত এসে গেছে।

সদর উপজেলার খোদমাধবপুর মিস্ত্রিপাড়া জামে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লি মো.  আনোয়ার হোসেন বলেন, আশ্বিন মাসের শেষে ঘন কুশায়া পড়ে গেছে, শীতের প্রভাব হয়তো আসছে। একদিকে বৃষ্টি, আরেক দিকে গরম ও কুয়াশা। এ সব মিলিয়েই আমাদের এই বাংলাদেশ।

বিএডিসির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, শীত আসার আগেই এবার আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে হালকা কুশায়া পড়তে শুরু করেছে। তবে আজকে যে ঘন কুয়াশা পড়েছে তা ব্যাপক, যা এই সময়ে কল্পনাই করা যায় না।

ইজিবাইকচালক তসলিম বলেন, কুয়াশা মানেই শীত আসার নমুনা। আমাদের কাছে আজকের কুয়াশা ভালোই লাগছে। তবে এবার আজকের মতো কুয়াশা পড়তে দেখিনি।

ভোরে হাঁটতে বের হওয়া জাকির হোসেন বলেন, অক্টোবর মাস প্রাকৃতিক নিয়মেই কিছুটা কুয়াশা পড়ার কথা। তবে আজকে একটু কুয়াশা যেন বেশিই পড়েছে। কাছে থেকে একটু দূরের কিছু দেখা যাচ্ছে না।

সদর উপজেলার মহাসড়কের ধারের গ্রাম চুনিয়াপাড়া গ্রামের রুম্মান বলেন, আশ্বিন মাসের ২৯ তারিখ। এখন গরমের তীব্রতা নেই। আবার শীত অনুভূত না হলেও আজ শুক্রবার কুয়াশা পড়েছে। ঋতু পরিবর্তনের একটা পূর্বাভাষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কে যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।

শহরের বালুবাড়ী এলাকার আবুল কাশেম বলেন, দিনে রাতে হালকা গরম হলেও ভোরে কুয়াশায় কিছুটা শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। শীত আসছে এটা বোঝা যাচ্ছে। ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে উঠে দেখি প্রচণ্ড কুয়াশা পড়েছে। কুয়াশা দেখে মনে হচ্ছে শীত এসে গেছে।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, কয়েকদিনের সামান্য বৃষ্টির কারণে আজ শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশা পড়েছিল। এ সময় এমন কুয়াশা স্বাভাবিক বিষয়। তবে দিনাজপুরের তাপমাত্রা ২৩ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করছে।

এই বিভাগের আরও খবর