রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বাকসাডাঙ্গী ও জামসাপুর এলাকায় গড়াই নদীতে অবৈধ বাঁশের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছেন প্রভাবশালীরা।
কয়েকদিন ধরে এ অবস্থা বিরাজ করলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যদিও তারা বলছে, বিষয়টি তাদের জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মৎস্য সংরক্ষণ আইনে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে- নদী বা জলাধারের প্রবাহ ব্যাহত করে কোনো মাছ ধরা যাবে না। অথচ ওইসব প্রভাবশালী আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাছ শিকার করছেন।
সরেজমিন বাকসাডাঙ্গি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নারুয়া ইউনিয়নের জামসাপুর গ্রামের গড়াই নদীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত আড়াআড়িভাবে কয়েক হাজার বাঁশ পুঁতে বেড়া দেওয়া হয়েছে। এসব বেড়ার সঙ্গে জাল পাতা রয়েছে। যে কোনো মাছ এ পথ দিয়ে যাওয়ার সময় জালে ধরা পড়বেই। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রকৃত মৎস্যজীবীরা। ব্যাহত হচ্ছে নৌযান চলাচলও।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশকিছু দিন ধরে জামসাপুর এলাকার কয়েক প্রভাবশালী এই বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ ধরছেন। তাদের দিনের বেলায় কখনও দেখা যায় না। সারাদিন জালে যেসব মাছ আটকা পড়ে, রাতে তারা সেগুলো তুলে নিয়ে যায়। ছোট-বড় নানান ধরনের মাছ ধরা পড়ে জালে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না।
বাকসাডাঙ্গি জামসাপুর এলাকাটি নারুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে। এ ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল আলিম জানান, কয়েকদিন ধরে বাঁশ পোতা হয়েছে। কারা পুঁতেছে তা তিনি জানেন না। তবে তারা জামসাপুর এলাকার বাসিন্দা হতে পারে। গত বছরও এভাবে বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ ধরা হতো। পরে প্রশাসন জানতে পেরে সে বাঁধ ভেঙে দেয়। বাঁধ দেওয়ার বিষয়টি খুব শিগগিরই উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে জানাবেন বলে জানান তিনি।
নারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান, বিষয়টি তার জানা নেই।
বালিয়াকান্দি উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. রবিউল হক জানান, নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার সম্পূর্ণ অবৈধ।