,

কাশিয়ানীতে চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিতে মিছিল

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানীতে জমি দখলের প্রতিবাদ করাতে এক ইউপি সদস্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে চেয়ারম্যানের ভাই। লঞ্ছিত করার প্রতিবাদ আজ সোমবার চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ইউপি সদস্যরা এবং এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানায়, কাশিয়ানী উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মকিমুল ইসলাম মকিমের ভাই মো. মিলন পারুলিয়া ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের সংখ্যালঘু বিজয় কৃষ্ণ মৃধা ও গোপাল চন্দ্র মৃধার ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে তিতাগগ্রামের মনা মিয়ার ছেলে কামাল হত্যাকাণ্ড মামলার মূল আসামি মাদক কারবারি মো. চাঁন মিয়া চাঁনুকে বাড়ি করে দিতে ভেকু দিয়ে মাটি কাটে। পারুলিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সাধন কুমার এতে বাধা দেয় এবং মিলনকে বলেন, তার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড ও মাদক কারবারের অভিযোগ রয়েছে। আমার এলাকায় অধিকাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ে লোকজনের বসবাস। একটি শান্তিপূর্ণ জায়গা সেখানে চানুর মতো একজন খারাপ লোক বাড়ি করলে এলাকা মাদকে ছেয়ে যাবে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানের ভাই মো. মিলন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সাধন কুমারকে গত রবিবার বিকালে সাজাইল বাজারে লোকজনের সামনে মারধর করে।

সাধন কুমারকে মারধর ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সোমবার ওই জমির এলাকায় (লক্ষীপুর গ্রামে) সকালে পারুলিয়া ইউনিয়নের ১২ ইউপি সদস্য ও কুমারীয়া, লক্ষীপুর, কষ্টেপুর পারুলিয়া, সোনাডাঙ্গা গ্রামের শ শ লোক চেয়ারম্যান মো. মকিমুল ইসলাম মকিমের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করে। সেই সাথে লোকজন একত্রিত হয়ে আবার সেই কাটা মাটি ভরাট করে।

এ ব্যাপারে জমির মালিক বিজয় কৃষ্ণ মৃধা ও গোপাল চন্দ্র মৃধা বলেন, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি তবে বর্তমানে সরকারি হয়ে গেছে। তবে চেয়ারম্যার মো. মকিমুল ইসলাম মকিমের ভাই মো. মিলন জোর করে আমাদের ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে মাদক কারবারি মো. চাঁন মিয়া চাঁনুকে জোর করে বাড়ি করে দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে পারুলিয়া ইউনিয়নের মেম্বার সাধন কুমার জানায়, আমি শুধু বলেছি চানু একজন কুখ্যাত মাদক কারবারি কাশিয়ানী থানায় তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে তাকে আমার এলাকা বাড়ি করে দিও না তাতে আমার এলাকায় মাদক ছড়িয়ে যাবে। আর সে কারণে আমাকে সাজাইল বাজারে প্রকাশ্য মারধর করে। তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করছে। মিলনের বিরুদ্ধে এলাকায় অনেক ধরনের অভিযোগ রয়েছে।

চেয়ারম্যান মো. মকিমুল ইসলাম মকিম মোবাইল ফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার এসব ব্যাপারে কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে ঘটনাটি আমি শুনেছি।

এই বিভাগের আরও খবর