,

কালিয়ায় হতদরিদ্র কর্মসূচীতে হরিলুট

এম শিমুল খান: নড়াইলের কালিয়ায় ৪০ দিনের কর্মসূচীতে বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নে এ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

এ ছাড়াও ওই এলাকায় বরাদ্দকৃত শ্রমিকের অর্ধেক শ্রমিক দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারীদের বিরুদ্ধে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির ৩টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৭৩ জন শ্রমিক বরাদ্দ দেয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্থ কাঁচা সড়ক মেরামতের জন্য কাগজ কলমে ৭৩ জন শ্রমিক থাকলেও প্রকল্পগুলো ঘুরে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র।

পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড পাখিমারা গ্রামে ৪০ দিনের কর্মসূচী কাজের জন্য ২৩ জন শ্রমিকের কথা থাকলেও সেখানে কাজ করছে মাত্র ৭ জন শ্রমিক।

ওই ওয়ার্ডের (পিআইসি) ইউপি সদস্য জেফরুল বলেন, ‘উপরের নির্দেশের কারণে কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে।

একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সরষপুর গ্রামে ২০ জন শ্রমিকের কাজ দেখানো হলেও কাজ করছে মাত্র ৮ জন।

৯ নং ওয়ার্ড চাপাইল মধুপুর গ্রামে কর্মসূচীর প্রকল্পে গিয়ে দেখা গেছে, বরাদ্দকৃত ৩০ জনের মধ্যে উপস্থিত মাত্র ৮ জন। ওই ওয়ার্ডে প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র শিশু শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ। পিআইসি ইউপি সদস্য টিপু ভূঁইয়ার কাছে শিশু শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর বিষয় জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

ওই প্রকল্পের তদারকির দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা স্বপন কুমার মিত্রের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এখন ঢাকাতে আছি। আমি গেলে সবাইকে কাজে দেখতে পাই।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের শুরুর প্রথম থেকেই ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা মিলে বরাদ্দকৃত শ্রমিকের বিপরীতে কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করিয়ে সরকারী বরাদ্দের টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটয়ারা করে নিচ্ছে।

কালিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা মো. শাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যে সব প্রকল্পের বিরুদ্ধে কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগ রয়েছে। তাদের হাজিরা বিল দেয়ার সময় টাকা কর্তন করে দেয়া হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর