,

ইউরোপের টিউলিপ এখন গাজীপুরে

কৃষি খবর ডেস্ক: ইউরোপের বসন্তের ফুল গাজীপুরের কেওয়া গ্রামে ফুটিয়ে সবাইকে রীতিমত অবাক করেছেন ফুল চাষি দেলোয়ার হোসেন। দেশের মাটিতে চার রংয়ের টিউলিপে আশার আলো দেখছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

শীতকালে উত্তরাঞ্চলের ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রা কাজে লাগিয়ে টিউলিপ উৎপাদন করে রপ্তানির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কেননা, এই সময়ে ইউরোপে ব্যাপক চাহিদা থাকলেও তীব্র শীতের কারণে টিউলিপ ফোটে না।

লাল, হলুদ, গোলাপী রং মেখে ইউরোপের বসন্তের ফুল টিউলিপ দোল খাচ্ছে দেশি বসন্ত বাতাসে।

বিশ্ব অভিজাত্যের পছন্দের তালিকায় সবচেয়ে উঁচুতে থাকা এই ফুলটি দেশের মাটিতে জন্ম নেয়ার গল্পটা সহজ নয়। দেলোয়ার হোসেন দুই বছর আগে নেদারল্যান্ডস থেকে ১০০টি চারা বা বাল্ব আমাদানি করেন। টিউলিপ ফুটতে তাপমাত্রা প্রয়োজন ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা বাংলাদেশে খুব কম সময় থাকে। এবছর শীত দীর্ঘ হওয়ায় এক হাজার বাহারি টিউলিপ ফুল ফুটেছে দেলোয়ারের বাগানে।

গাজিপুরের টিউলিপ চাষি দেলোয়ার হোসেন জানান, নেদারল্যান্ডস থেকে ১০০টি চারা বা বাল্ব আমাদানি করে এই বাগানের উদ্যোগ গ্রহণ করি। তবে প্রথম দিকে এই বাগানের কাজটা খুব সহজ ছিল না। কিন্তু আজ এই সফলতা পেয়ে ভালো লাগছে। এই ফুলের বিস্তারে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। টিউলিপ ফুল বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। এজন্য দরকার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতা।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহুল ইসলাম জানান, টিউলিপের বাল্ব আমাদানিতেও বহু জটিলা আছে। প্রতিটি চারা আনতে খরচ প্রায় ৫০ টাকা। টিউলিপ চাষ সম্প্রসারণে আমাদানি খরচ কমানো ও সাভার, যশোরসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে চাষ শুরুর উদ্যোগ নেয়ার পরিকল্পনা করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

তুষারপাতের কারণে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যান্ত ইউরোপ জুড়ে টিউলিপ চাষ বন্ধ থাকে। এই সময়ে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনা দেখছে কৃষি বিভাগ।

এই বিভাগের আরও খবর