,

সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে তিন মামলার কার্যক্রম স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা তিন মামলার সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।

আদালতে কাজলের পক্ষে ছিলেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।

ফটোসাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা ৩ মামলায় গত বছরের ৮ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করে আদালত।

ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন এই চার্জ গঠন করেন।

মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওসমান আরা বেলী ও সুমাইয়া চৌধুরী বন্যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় ২০২০ সালের ৯, ১০ ও ১১ মার্চ কাজলের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেন। মামলাগুলো করা হয় যথাক্রমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, ৪ এপ্রিল ও ১৪ মার্চ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা তিনটির অভিযোগপত্র জমা দেন।

মামলায় কাজলের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং যুব মহিলা লীগের শীর্ষ নেতাদের সম্পর্কে অশালীন, মানহানিকর, আপত্তিকর ও ভুয়া তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়।

সাংবাদিক কাজল ২০২০ সালের ১০ মার্চ নিখোঁজ হন। ওই বছরের ৩ মে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাকে বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ঘুরতে দেখে আটক করে। একই দিন তাকে যশোরের একটি আদালত ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাজতে পাঠায়। পরবর্তীতে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আটক দেখানো হয়।

সাত মাস কারাভোগের পর ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান ফটোসাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজল।

এই বিভাগের আরও খবর


Antalya korsan taksiAntalya korsan taksi