,

বগুড়ার নয়মাইল-সোনাহাটা সড়কের বেহালদশা

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শাজাহানপুর ও ধুনট উপজেলার সংযোগ সড়ক নয়মাইল-সোনাহাটা’র সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এই দুই উপজেলার লাখ লাখ মানুষের। এই পাকা রাস্তাটির অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং এবং সাব-বেজ পর্যন্ত উঠে গিয়ে খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে খানা-খন্দকে জমছে হাটু পানি আর শুস্ক মৌসুমে ধুলাবালি। এর ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে, বিকল হচ্ছে যানবাহন। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন অসুস্থ মানুষ ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শাজাহানপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ ছাড়াও এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ধুনট উপজেলা এবং ধুনটের সীমান্তবর্তী শেরপুর উপজেলার বেশ কিছু এলাকার শত শত মানুষ বগুড়া জেলা শহরে যাতায়াত করে থাকেন। শাজাহানপুরের নয়মাইল হাট, নগর হাট, আমরুল ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, নগর জে.এম ফাযিল মাদ্রাসা, নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রাজারামপুর বাজার, নগর শাহ মোজাম্মেল হক উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। চিকিৎসা নিতে জেলা সদরে যাওয়ার পথে অসুস্থ মানুষ এবং গর্ভবতী নারীদের ভোগান্তির সীমা থাকে না।

ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারি অটো টেম্পু চালকরা জানান, প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ টেম্পু, রিকশা-ভ্যানে করে নয়মাইল থেকে ধুনট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন। পথিমধ্যে যানবাহনগুলো অনেক সময় বিকল হয়ে যায়। নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর ব্যঘাত ঘটায় যাত্রীদের সাথে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এমনকি দুর্ঘটনারও শিকার হতে হচ্ছে।

নগর জে.এম ফাযিল মাদ্রাসার শিক্ষক সামছুল হক জানান, তিনি বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে মাদ্রাসায় যাতায়াত করেন। রাস্তায় খানা-খন্দকের কারণে বর্ষার সময় কাদা-পানি আর শুষ্ক সময়ে ধুলাবালিতে যাতায়াতে চরম ব্যঘাত সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা বাইসাইকেলে এমনকি পায়ে হেঁটে মাদ্রাসায় যাতায়াত করতেও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

ঠিকাদার ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান জানান, রাস্তাটি বর্তমানে ব্যবহারের অনুপযোগী। বেহাল দশার কারণে ব্যবসায়ীক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে।

আমরুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অটল জানান, দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে ইউনিয়নবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বার বার জানানোর পরও সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন জানান, সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে মেরামতের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অচিরেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর