স্পোর্টস ডেস্ক, বিডিনিউজ ১০ ডটকম: ঢাকা টেস্টের প্রথম দুই দিন ছিল বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের আধিপত্য। মুশফিকুর রহিমের অনন্য কীর্তি ও মুমিনুল হকের চমৎকার সেঞ্চুরির ওপর ভর করে প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়ে স্বাগতিকরা। জবাবে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে স্পিনার তাইজুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৩১ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল। পরে ষষ্ঠ উইকেট জুটির দৃঢ়তায় কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও আবার শেষ বিকেলে মেহেদী হাসান মিরাজের ঝলকে তিন শতাধিক রান পার হতেই ইনিংস গুটিয়ে নেয় সফরকারী দলটি।
আজ মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে জিম্বাবুয়ে নয় উইকেট হারিয়ে গড়েছে ৩০৪ রান। তারা ১০৫.৩ ওভার খরচ করেছে। চোটের কারণে চাতারা ব্যাট করতে নামতে না পারায় ইনিংস গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয় অতিথি দলটি। তাই প্রথম ইনিংসে ২১৮ রানের লিড পায় বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের এই ইনিংস গড়তে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন ব্রেন্ডন টেইলর। তাঁর চমৎকার শতকেই (১১০) গড়া সম্ভব হয় তিন শতাধিক রান। এ ছাড়া পিটার মোর ৮৩ ও ব্রায়ান চারি ৫৩ দুটি চমৎকার ইনিংস খেলেন।
স্পিনার তাইজুল ১০৭ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদের শুরুতে বেশ চেপে ধরেছিলেন। মেহেদী হাসান মিরাজ তিন উইকেট তুলে নিয়ে শেষ বিকেলে কিছুটা চেপে ধরেন। আর একটি উইকেট পান আরিফুল হক।
এর আগে মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি ও মুমিনুল হকের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে বাংলাদেশ ৫২২ রান করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে, যাতে মুশফিক একাই ২১৯ রানের হার না মানা একটি ইনিংস খেলেন। ৪২১ বলে ১৮ চার ও একটি ছক্কায় এই ইনিংস সাজিয়েছেন। শেষ দিকে এসে তাঁকে দারুণ সাপোর্ট দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই তরুণ অলরাউন্ডার খেলেন অপরাজিত ৬৮ রানের একটি ইনিংস। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ ৩৬ রান করেন।
মুশফিকের ক্যারিয়ারে এটি দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের আরো দুটি ডাবল সেঞ্চুরি আছে, একটি সাকিব আল হাসানের, অন্যটি তামিম ইকবালের।
এর আগে প্রথম দিনে বাংলাদেশ ৯০ ওভারে ৩০৩ রান করেছিল, যাতে মুমিনুল ১৬১ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের সপ্তম টেস্ট শতক। আর ষষ্ঠ সেঞ্চুরি করে মুশফিক ছিলেন ১১১ রানে অপরাজিত।
তবে দুজনে মিলে দারুণ একটি রেকর্ড গড়েছেন। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছেন। চতুর্থ উইকেটে তাঁরা করেন ২৬৬ রান।
শেরেবাংলায় এটি হয়েছে দারুণ একটি রেকর্ড। এই মাঠে এটি সর্বোচ্চ রানের জুটি। এই ভেন্যুতে এর আগে সর্বোচ্চ জুটি ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে। সেবার দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকবাল ও জুনায়েদ সিদ্দিকী করেছিলেন ২০০ রান। এবার সে রেকর্ডকে ছাড়িয়েছেন তাঁরা।
এর আগে লিটন দাস ৯ ও ইমরুল কায়েস শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। কোনো রান না নিয়ে আউট হন এই ম্যাচে অভিষেক হওয়া মিঠুনও।
আর মাহমুদউল্লাহ ৩৬, আরিফুল ও তাইজুল ৪ রান করে নেন।