বিডিনিউজ ১০ ডেস্ক: পবিত্র ‘লাইলাতুল কদর’ হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ রাত। মহিমান্বিত এ রাত মুমিন মুসলমানের জন্য আল্লাহর দেওয়া সেরা নেয়ামত। যদিও শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলো লাইলাতুল কদর তালাশ করার দিকনির্দেশনা এসেছে, তথাপিও অধিকাংশ মুসলিম ২৬ রমজান দিবাগত রাতটি ‘লাইলাতুল কদর’ পাওয়ার আশায় যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করেন। সে হিসেবে দেশব্যাপী এ বছর ২৬ রমজান মোতাবেক আজ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পালিত হবে কাঙ্খিত পবিত্র ‘লাইলাতুল কদর’।
২৭ রমজানের প্রস্তুতির তারাবিহ নামাজ পড়ার পর থেকে মুমিন মুসলমান সারা রাত জেগে লাইলাতুল কদর পেতে ইবাদত-বন্দেগিতে রত থাকে। মর্যাদার এ রাতে রাসূলে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য উপহারস্বরূপ পবিত্র কোরআনের বাণী সূরা আলাকের প্রথম পাঁচ নাজিল হয়।
আল্লাহ বলেন, হে রাসুল! আপনি পড়ুন! আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে। পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। (সূরা আলাক : আয়াত ১-৫)
মহিমান্বিত মর্যাদার এ রাতের বর্ণনায় আল্লাহ তাআলা স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে। শবে-কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন? শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে। এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।‘ (সূরা কদর) সে কারণেই মুসলিম উম্মাহ হাজার মাসের সেরা রাত লাইলাতুল কদর পেতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ইবাদত বন্দেগিতে রত থাকবে। তারাবিহ, নফল নামাজ, তাহাজ্জুদ, সালাতুল তাসবিহ, জিকির-আজকার, দোয়া-দরূদ পাঠ করবে। গোনাহ মাফ ও রহমত লাভে অশ্রু বিসর্জন দেবে।
প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শই আমাদের পাথেয়। পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের অপার সুযোগ নিয়ে বরকতময় পবিত্র শবে কদর আমাদের মাঝে সমাগত। মহিমান্বিত এই রজনিতে আমি মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মার জন্য মাগফেরাত ও কল্যাণ কামনা করছি।’
পবিত্র লাইলাতুল কদরের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘আসুন, সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।’ পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান।