তাজুল ইসলামের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা। পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের সেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। রাত সাড়ে নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হারাগাছ থানার সামনে শত শত মানুষ অবস্থান নিয়েছেন। থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নয়াবাজার বছি বানিয়ার তেপতি থেকে তাজুল ইসলামকে মাদকসহ আটক করে পুলিশ। এ সময় তিনি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে পালানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনে মারা যান তাজুল ইসলাম। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা ঘেরাও করেন। বিক্ষুব্ধ লোকজন ইটপাটকেল ছুড়ে মারার পাশাপাশি পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করছে।
রাত সাড়ে নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হারাগাছ থানার সামনে শত শত মানুষ অবস্থান নিয়েছেন। থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। সহকারী পুলিশ কমিশনার আলতাব হোসেন বলেন, পিটিয়ে হত্যার অভিযোগটি সত্য নয়। এরপরও নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্ত করে প্রকৃত বিষয়টি জানা যাবে।