,

ফরিদপুরে বন্যায় তলিয়ে গেছে ১৫ গ্রাম

ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে বন্যা দেখা দিয়েছে। ফরিদপুরের প্রবেশমুখে পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে বুধবার (২ অক্টোবর) বিকাল তিনটায় বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রামের কয়েকটি সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।

বেশকিছু স্থানে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। এ পর্যন্ত ১৫টি গ্রামের দুই হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। চরভদ্রাসন উপজেলায় ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে বুধবার বিকাল তিনটায় বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

পাউবো জানায়, গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি মঙ্গলবার বিপদসীমা অতিক্রম করে। ওই দিন সকল ৬টায় নদীর পানি বিপদসীমার ছয় সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

ফরিদপুরের সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান বলেন, বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে তার এলাকায় ২২ একর জমির পেঁয়াজ, ২০ একর ধনিয়া ও ৩৫ একর মাশকালাইসহ মোট ৭৭ একর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে। ১৫টি গ্রামের দুই হাজার লোক এতে পানি বন্দী হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া ইউনিয়নের কায়মুদ্দিন মাতুব্বরের কান্দি গ্রামে একটি কার্পেটিং সড়ক এবং ইউসুফ মাতুব্বরের ডাঙ্গী ও বোরহান মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামে তিনটি ইট বিছানো সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, বন্যার পানিতে চরাঞ্চলের ৩০ হেক্টর জমির মাশকালাই পানিতে ডুবে গেছে। পাশাপাশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ও ধনিয়া ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে।

এদিকে, চরভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের ছবুল্যা সিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে ভাঙন কবলিত জায়গা থেকে ওই বিদ্যালয়ের দূরত্ব ৪৭ মিটারে নেমে এসেছে। গত সোমবার ভাঙন থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব ছিল ৫৩ মিটার।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, নতুন করে পদ্মা নদীর পানি আবার বাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, উজানে ভারত অংশে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ায় ওই পানি বাংলাদেশে পদ্মা অববাহিকা দিয়ে গড়িয়ে যাওয়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত পানি বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

এই বিভাগের আরও খবর