মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. আলী আকবর জানান, মঙ্গলবার তার পিস্তলের লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি মিজানকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকেও অবহিত করা হয়েছে।
গত ১ জুলাই হাই কোর্টে আগাম জামিন নিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়ে ডিআইজি মিজান কারাগারে আছেন।
এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠায় গত বছর জানুয়ারিতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ডিআইজি মিজানুর রহমানকে।
তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে থাকা এক দুদক কর্মকর্তাকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা নিজেই ফাঁস করে দিয়ে সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় আসেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এরপর মিজান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান এবং ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানকে আসামি করে গত ২৪ জুন এই মামলা দয়ের করেন দুদকের পরিচালক মনজুর মোরশেদ।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা -১ এ দায়ের করা এ মামলায় তিন কোটি সাত লাখ ৫ হাজার ২১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।
মাগুরা জেলা প্রশাসক আলী আকবর জানান, মিজানুর রহমান ১৯৯৭ সালের ৩০ জানুয়ারি থেকে ১৯৯৮ সালের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাগুরায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই সময় তিনি ব্যক্তিগত পিস্তলের লাইসেন্স নেন। পরে ২০১১ সালের ২৩ মে তিনি ইউএসএ তৈরি একটি পিস্তল এবং ১০ রাউন্ড গুলি ক্রয় করেন।
নারী কেলেঙ্কারির ঘটনার পর গত ২৯ মে ৪০ রাউন্ড গুলি ক্রয়ের অনুমতি চেয়ে ডিআইজি মিজান মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করেন।
তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান গুলি ক্রয়ের আবেদনটি নাকচ করেন বলে আলী আকবর জানান।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলী আকবর আরও জানান, গত ৪ অগাস্ট দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে তার ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সটি বাতিলের জন্যে মাগুরায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে পত্র পাঠানো হয়। এরপর ডিআইজি মিজানের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়।
তার ব্যবহৃত ব্যক্তিগত পিস্তলটির লাইসেন্স বাতিলের পাশাপাশি তার কাছে থাকা গুলি সরকারি হেফাজতে রাখার জন্যও তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে আলী আকবর জানান।