বিডিনিউজ ১০ রিপোর্ট: দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক রেজাউল করিম প্লাবনকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। চাঁদা না পাওয়ায় মোবাইল ফোনে তাকে এই হত্যার হুমকি দেয়া হয়। নিরাপত্তা বিবেচনায় এ বিষয়ে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় জিডি করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে রেজাউল করিম প্লাবন বলেন, কুড়িগ্রামের চিলমারী থেকে মাসুম বিল্লাহ নামে একজন সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন থেকে আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। সর্বশেষ গত ১১ আগস্ট চিলমারী আমার নিজ এলাকায় ত্রাণ বিতরণকালে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের নেতা পরিচয় দিয়ে ১০০টি ত্রাণের স্লিপ দাবি করে। চাঁদার স্লিপ না দেয়ায় সে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, এরই জের ধরে গত কয়েকদিন ধরে মাসুম বিল্লাহ ও তার সহযোগী মামুন আমার পরিবারের লোকজনদের হয়রানি করছে। বাসায় গিয়ে বিনা কারণে শাসিয়ে আসছে। এ নিয়ে মাসুম বিল্লাহ আমাকে ফোন দিয়ে বৃহস্পতিবার অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে ও হত্যার হুমকি দেয়। চিলমারী গেলে মেরে ফেলা হবে বলেও জানায় মাসুম বিল্লাহ। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে রাতেই আমি হাতিরঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনে চিলমারী শাখায় মাসুম বিল্লাহ নামে কেউ নেই দাবি করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়ন বলেন, বিতর্কিত কার্যকলাপের জন্য তাকে আগেই অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
একজন সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকির তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, যারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করে তাদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
জিডিতে প্লাবন উল্লেখ করেন, ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার আনুমানিক বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে যুগান্তর অফিসে যাওয়ার পথে হাতিরঝিল থানার পশ্চিম হাজীপাড়া পৌঁছলে আমার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে মাসুম বিল্লাহ ফোন দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আচমকা অশ্লীল গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি পেয়ে ফোনটি কেটে দেই।
সে পুনরায় একই নম্বর থেকে ফোন দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয়, যার কল রেকর্ড আমার মোবাইল ফোনে আছে। হত্যার হুমকির কারণ জানতে চাইলে ফের গালিগালাজ করে এবং চিলমারীতে গেলে কেটে ফেলা হবে বলে পুনরায় হত্যার হুমকি দেয়।
তৃতীয়বার ফোন দিয়ে সে নিজেকে চিলমারীর ডন দাবি করে তোর ভাইকে মেরে ফেললে কী করতে পারিস দেখব বলে আবার হুমকি দিয়ে ফোন কেটে দেয়। মাসুম বিল্লার অব্যাহত এই হুমকিতে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।