জেলা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় সড়কের সরকারি ৫৪টি গাছ কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। জানা গেছে, কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পান্টি-বাঁশগ্রাম সড়কের কাঁচিকাটা সেতু, ভাদুরমোড় থেকে আদাবাড়িয়া পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের অন্তত ৫৪টি গাছ রাতের আধারে কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
প্রায় ৩০-৪০ বছর বয়সি ১০-১২ লাখ টাকা মূল্যের মেহগুনি ও শিশু গাছগুলো গেল এক মাস ধরে কাটা চলছে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, একটি চক্র রাতের আধারে প্রতিদিনই বড় বড় গাছ গুলো কেটে নিচ্ছে। ভাদুরমোড় এলাকা থেকে বড় মেহগুনি গাছ কাটা হয়েছে। আরো কয়েক শত গাছ কাটার অপেক্ষায়। কল দিলেও আসেনা পুলিশ। এতে চরম ক্ষুব্ধ তারা।
আরও জানা গেছে, কাঁচিকাটা সেতু থেকে আদাবাড়িয়া পর্যন্ত সড়কের দুইপাশে কয়েক শত বড় বড় মেহগুনি, শিশু, বাবলাসহ হরেকরকম গাছ রয়েছে। সেখানে প্রায় অর্ধশত গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। পড়ে আছে গাছের গোড়া ও কিছু ডালপালা। তবে এবিষয়ে ভয়ে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কলেজ ছাত্র বলেন, প্রায় এক মাস ধরে রাতের আধারে একটি চক্র সকড়ের গাছ গুলো কেটে নিচ্ছে। কল দিলেও পুলিশ আসেনা। তার ভাষ্য, ৫ আগস্টের পরে পুলিশের তৎপরতা নেই। ফলে অবাধে অপরাধ চালাচ্ছে চক্রটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাঠ মিস্ত্রি বলেন, গেল দুই-তিন দিনে একটি চক্র প্রায় ছয় লাখ টাকা মূল্যের গাছ কেটে স্থানীয় একটি ‘স’ মিলে চিড়াই করে তা অন্যত্রে নেওয়া হয়েছে। আবার সেখানেই খাট বানিয়ে ২৫-৩০ হাজার টাকা করে বিক্রি করছে চক্রটি। তার ভাষ্য, গেল একমাসে সড়কের প্রায় ৫৪টি গাছ কাটা হয়েছে। প্রতিটি গাছের মূল্য ২৫ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত।
আরও জানা গেছে, একটি চক্র ডিজিটাল করাত দিয়ে রাতের আধারে গাছ কেটে চাঁদুপুর ইউনিয়নের ভাদুরমোড় এলাকার একটি ‘স’ মিলে চিড়াই করে অন্যত্রে নেওয়া হচ্ছে। কখনও আবার সেখানেই আসবাবপত্র তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে। আর গাছের ডালপালা গুলো বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। গাছ কাটার খবর জানা নেই বলে জানিয়েছেন কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ। তিনি বলেন, সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, গাছ কাটার খবর কেউ জানায়নি। খোঁজখবর নিয়ে অপরাধীদের সনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।