,

হত্যা মামলায় মৃত ব্যক্তিও আসামি!

জেলা প্রতিনিধি, গাজীপুর: গাজীপুরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে কলেজছাত্র আসীর ইনতিশারুল হক নিহতের মামলায় কালা মিয়া নামে এক মৃত ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।

নিহত আসীরের বাবা আ হা ম এনামুল হক বাদী হয়ে ২২৭ জনের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় গত শুক্রবার মামলাটি করেছেন। ওই মামলার ১৭০ নম্বর আসামি শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামের মৃত কালা মিয়া।

তিনি কাওরাইদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।

কালা মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন বলেন, তার বাবা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এটা সত্য। মৃত্যুর ৯ দিন পর তার বাবাকে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে।

কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আলম খান জানান, গত ২৫ সেপ্টেম্বর কালা মিয়া হঠাৎ করেই মারা যান। ওইদিন বাড়ির পাশে জানাজা শেষে কালা মিয়ার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় আসামি করাকে পুলিশের দায়িত্বহীনতার সঙ্গে তুলনা করেছেন কাওরাইদ ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, যে মানুষটা ৯ দিন আগে মারা গেছেন তাঁকে কীভাবে মামলায় আসামি করা হয়।

শ্রীপুর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আসীর। তিনি ময়নসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বৈলর গ্রামের আ হা ম এনামুল হকের ছেলে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার ২২৭ জনের নাম শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন এনামুল হক। যেখানে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ১০০-১৫০ জনকে।

আসামির তালিকায় রয়েছেন– সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জামিল হাসান দুর্জয়, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামসুল আলম প্রধান, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল।

মৃত ব্যক্তিকে আসামি করার বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’

এই বিভাগের আরও খবর