,

স্বামীর ভিটাতেও ঠাঁই হচ্ছে না বৃদ্ধার

জেলা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে নিজ মাকে জমি লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ এবং আশ্রয় না দেবার অভিযোগ উঠেছে আবুল হাশেম (৪৫) নামের এক কবিরাজের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগীর নাম শমেলা খাতুন (৮০)। তিনি উপজেলার বারবাড়িয়া ইউনিয়নের চাইরপাড়া গ্রামের মৃত আঃ জব্বারের স্ত্রী। তিনি এক ছেলে ও চার মেয়ের জননী। অভিযুক্ত ছেলে আবুল হাশেম পেশায় একজন কবিরাজ।

জানা যায়, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই পরিত্যক্ত একটি রান্না ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন শমেলা খাতুন। স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলে হাশেম জমি জমা লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। জমি নিয়ে মা ও ছেলের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। এক পর্যায়ে শমলা খাতুনকে ঘর থেকে বের করে দেন তার ছেলে। রোদ, ঝড়বৃষ্টি মাথায় করে ভাঙা রান্না ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করতে থাকেন তার মা । মেয়েরা মায়ের কষ্ট দূর করতে দোচালা ঘর বানিয়ে দিতে গেলেও বাধা দেয় ছেলে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একাধিকবার নোটিশ পাঠিয়েও কোনো সমাধান করতে পারেননি।

স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুখলেছুর রহমান বলেন, বৃদ্ধ মাকে কিভাবে তার সন্তান এভাবে খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখে চোখে না দেখলে বিশ্বাস হতো না। আমি বিষয়টি দেখে অবাক হয়েছি। তার ছেলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পারিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল হাশেম বলেন, মায়ের অভিশাপ আমার লাগে না। আমি জীবিত থাকতে ঘর করতে দেব না।

দীর্ঘশ্বাস ফেলে শমেলা খাতুন বলেন, ১৬ বছর আগে আমার স্বামী মারা যায়। এরপর ছেলে আমাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। আমি পরিত্যক্ত রান্না ঘরে আছি। আমার স্বামীর ভিটাতে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত থাকতে চাই। মেয়েদের সহায়তায় ঘর তৈরি করতে গেলে আমার ছেলে আমাকে বাধা দেয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিতে স্থানীয় ভূমি অফিসের নায়েবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর