,

সুস্থ থাকার সহজ উপায়

  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি সচেতন হতে হবে। নিয়মিত গোসল এবং খাওয়ার আগে ও পরে হাত পরিষ্কার করতে হবে হ্যান্ডওয়াশ বা সাবান দিয়ে।
  • খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা এবং রাতে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে হবে।
  • বাজার থেকে শাকসবজি ও ফলমূল কিনে আনার পর কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভালো করে ধুয়ে তারপর খাওয়া বা রান্না করতে হবে।
  • রেস্তোরাঁ বা খোলা জায়গার খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে। এতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে।
  • ফাস্ট ফুড খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে। এগুলো অতিরিক্ত মেদ চর্বি তৈরি করে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে।
  • কলা, পেয়ারা, আপেল, আমলকী, চীনা বাদাম, ডিম, দুধ ইত্যাদি নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। এটি দেহ সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তা ছাড়া ক্যালসিয়াম-জাতীয় খাবার খেতে হবে। এগুলো হাড়ের উন্নতি ঘটায় এবং রোগ প্রতিরোধ করে।
  • অতিরিক্ত লবণ খাওয়া বাদ দিতে হবে। ভালো হয় ভাতের সঙ্গে লবণ না খাওয়া।
  • অতিরিক্ত চিনি এবং মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিমাণে কম খাবেন।
  • প্রতিবেলা সময়মতো খাবার খেতে হবে।
  • অতিরিক্ত চা-কফি পান করবেন না। বদলে পরিমিত গ্রিন-টি পান করতে পারেন।

ব্যায়াম
সুস্থ থাকতে শারীরিক পরিশ্রম বা নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। প্রতিদিন নিয়ম মেনে ও সময় স্থির করে শারীরিক পরিশ্রম করুন। ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। এতে আপনার জীবন কতটা  পরিবর্তন হবে এবং আপনি কতটা সুস্থ ও রোগমুক্ত থাকবেন, তা কিছুদিন পরেই বুঝতে পারবেন। তবে ব্যায়াম শুধু জিমেই করতে হবে, তা নয়। বাসায়ও ব্যায়াম করে সুস্থ থাকতে পারেন। সুস্থ থাকার জন্য  কঠিন কোনো ব্যায়ামের দরকার নেই। হাঁটা, দৌড়ানো, লিফটের বদলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা এবং বাসায় বিভিন্ন ধরনের ছোটখাটো কাজ করুন। এতে আপনার শারীরিক পরিশ্রম হবে। সুস্থ থাকতে হলে ইতিবাচক মনোবল দরকার। এতে বাড়তি খরচ হয় না, বরং চিকিৎসা ব্যয় কমে।

লেখক: জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষক  এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক, খাজা বদরুদদোজা মডার্ণ হাসপাতাল, কালিয়াকৈর, সফিপুর, গাজীপুর

এই বিভাগের আরও খবর